বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিসার (জেনারেল) পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালভিত্তিক অফিসার (জেনারেল) পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাঠাতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমটি এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫

ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি ‘মানবসম্পদ ও কল্যাণ বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ইস্কাটন, ঢাকা’য় সরাসরি অথবা ডাকযোগে জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র পাঠাতে হবে, সেগুলো হলো সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিট, সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র, সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি, নিজের এবং পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং স্থায়ী ঠিকানার সমর্থনে ইউপি চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলর/সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে প্রদত্ত জাতীয়তা সনদপত্র/নাগরিক সনদপত্র।

আরও পড়ুনসপ্তাহে ১ দিন কাজ ছয় দিন ছুটি—বিশ্বের কোন দেশে আছে এমন চাকরি৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল য ণ ব প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ