দ্বিতীয় ইনিংসে সাড়ে তিনশ’র মতো রান করার কথা বলেছিলেন মেহেদী মিরাজ। তার ভাষ্যে, তবেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে তিনশ’র কাছাকাছি লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হবে এবং বোলাররা কিছুটা নির্ভরতা নিয়ে লড়াই করতে পারবে। কিন্তু বৃষ্টি ও আলো স্বল্পতা বিঘ্নিত তৃতীয় দিনও দ্রুত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ৮২ রানের লিড শোধ করে ১১২ রানের লিড নিয়েছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ১০৩ বল খেলে ৬০ রানে দিন শেষ করেছেন। ৬০ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলী। তাদের জুটি দলকে কিছুটা নির্ভরতা দিয়েছে। তবে চাপ মুক্ত হতে পারেনি স্বাগতিকরা। 

মুমিনুলের ফিফটি মিস, ব্যর্থতার বৃত্তে মুশফিক: তৃতীয় দিন একটার পর ম্যাচ শুরু হলেও ওপেনার মাহমুদুল জয় ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ৩৩ রান করে ফিরে যান। এরপর মুমিনুল ও শান্ত ৬৫ রানের জুটি গড়েন। এরপর মুমিনুল ফিরে যান ৪৭ রান করে। পরেই সাজঘরে ফিরে যান অভিজ্ঞ মুশফিক। তিনি মাত্র ৩ রান যোগ করতে পারেন। তার উইকেট বিপদে ফেলে বাংলাদেশ দলকে।

মুজুরাবানির তোপ: জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদেহি পেসার ব্লেজিং মুজুরাবানি বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম চার উইকেটের তিনটিই দখল করেছেন। দ্বিতীয় দিন বিকালে সাদমানকে ফেরানোর পর তৃতীয় দিন জয়কে তুলে নেন তিনি। মুশফিকও  ফিরে যান মুজুরাবানির শিকার হয়ে।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়: সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৯১ রানে অলআউট হয়। মুমিনুল হক ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। নাজমুল শান্ত ফিরে যান ৪০ রান করে। জাকের আলী ২৮ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিতে মুজুরাবানি ও ওয়েলিংটন মাদাকাদজা ৩টি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট শিকার করেন নায়োচি ও মেধেভেরে।

নাহিদের পর মিরাজের ঝলকে ম্যাচে ফেরা: নাহিদ রানা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাগুলো দেন। প্রথম চার উইকেটের তিনটি তুলে নেন তিনি। পরের ধাক্কা দেন স্পিনার মেহেদী মিরাজ। তার ফাইফারে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ৫৭ রান করেন। শন উইলিয়ামস ৫৯ রান যোগ করেন।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ক র আল র ন কর উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের যত ঘুঘু 

মনিরা হাঁসের (বৈকাল টিল) সন্ধানে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বটতলা ঘাট থেকে ছেড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আধঘণ্টায় সিমলা পার্কের উল্টো পাশের চরের কাছে আসতেই একটি ঘুঘুকে পাড়ে বসে থাকতে দেখলাম। দ্রুত একটি ছবি তুলে ওটির পরিচয় নিশ্চিত হলাম। এই দুল৴ভ পাখিটি প্রথম দেখি ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ কুয়াশাভরা সকালে হবিগঞ্জের কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি সুন্দরবনের করমজলে। 

পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর কাছ থেকে ভালো ছবি তোলার আশায় ধীরে ধীরে নৌকা পাখিটির কাছাকাছি নিতে থাকি। তবে নৌকা যতই কাছে যাক না কেন, সেটি কিন্তু অবিচল—একটুও নড়ছে না, চুপচাপ বসে আছে। কৌতূহলবশত নৌকা থেকে পাড়ে নামলাম, পাখিটির একদম কাছে চলে গেলাম। এরপর সেটি ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করল। আমরাও পিছু নিলাম। কিছুক্ষণ পর অনেকটা অনিচ্ছায় উড়াল দিল পাখিটি।

ঘুঘু পাখি কবুতরের মতো একই গোত্র কোলাম্বিডির (কপোত) সদস্য। ঘুঘুর দেহ কবুতরের মতোই তুলনামূলক ভারী, মাথা ছোট, চঞ্চু ও পা খাটো। ওড়ার পেশি শক্তিশালী। তাই দ্রুত ও দীর্ঘক্ষণ উড়তে সক্ষম। লেজ হাতপাখার মতো বিস্তৃত। তবে আকারে কবুতরের চেয়ে ছোট হয়। এরাও স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষ পিত্তথলিতে উৎপন্ন ক্ষীরের মতো অর্ধতরল দুধ খাইয়ে ছানাগুলোকে বড় করে তোলে, যা ‘পায়রা বা ঘুঘুর দুধ’ নামে পরিচিত। এদেশে এই গোত্রের যে ১৮টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ১০টি কবুতর ও ৮টি ঘুঘু রয়েছে। প্রায় অর্ধেকের বেশি প্রজাতি সারা বছর প্রজনন করে। আয়ুষ্কাল চার থেকে ছয় বছর। এখানে এ পাখির সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো।

রামঘুঘু (ওরিয়েন্টাল টার্টল ডাব): ফিচারের শুরুতে লালচে বাদামি বর্ণের যে ঘুঘুর গল্প বললাম, সেটি এ দেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি রাম, কইতর বা গোলাপ ঘুঘু। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বহু দেশে এর দেখা মেলে। প্রাপ্তবয়স্ক ঘুঘুর দেহের দৈর্ঘ্য ৩৩ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার। ওজন ১৬৫ থেকে ২৭৪ গ্রাম। 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উড়ন্ত ধবল ঘুঘু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা 
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • ২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দ. আফ্রিকা
  • ২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২