রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তির ভাগ্য এক প্রকার নির্ধারণ হয়ে গেছে। বার্সেলোনাকে হারিয়ে কোপা দেল রে জিতলে কিংবা ‘অলৌকিক’ ঘটনায় লা লিগা জিতলেও আগামী মৌসুমে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তাকে লস ব্লাঙ্কোসদের ডাগ আউটে রাখবেন না।

ডন কার্লোর অবশ্য এখনো চাকরির আকাল পড়েনি। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চাকরি হারানোর আগেই তার দুয়ারে বেশ কিছু প্রস্তাব এসে হাজির। এই যেমন- এসি মিলান তাকে পুরনো গৌরব ফেরাতে নতুন করে দায়িত্ব দিতে চায়। রোমাও ইতালিয়ান বসকে ক্লাবের ডাগ আউটে আনার চেষ্টা করছে।

তবে সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি, পিএসজি, এসি মিলান ও এভারটনের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে পেতে সবার চেয়ে বেশি চেষ্টা করছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। সংবাদ মাধ্যম মারফত জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রজেক্টেই বেশি আগ্রহ অভিজ্ঞ এই কোচের।

গেটাফের বিপক্ষে লা লিগায় রিয়ালের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রশ্নের সম্মুখীন হন ডন কার্লো। জবাবে জানিয়েছেন, রিয়ালে তার হানিমুন পিরিডন এখনো শেষ হয়নি। থাকতে চান লম্বা সময়। তবে সামনে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে, ‘ফুটবলে যেকোন কিছু সম্ভব, যা কিছু ঘটে যেতে পারে।’

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চাকরি আছে কার্লো আনচেলত্তির। তবে মে’র শেষে লা লিগা শেষে হতেই তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ বোর্ড। জুনের ক্লাব বিশ্বকাপের আগে নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে লস ব্লাঙ্কোসদের ডাগ আউটে। লিগ শেষেই ডন কার্লোকে রিয়াল ছাঁটাই করলে তার ব্রাজিলের ডাগ আউটে দাঁড়ানোর ভালো সম্ভাবনা আছে। কারণ সিবিএফ মে’র মধ্যেই নতুন কোচের নাম ঘোষণা করতে চায়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল র ড গ আউট

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ