ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ভালো চর্বিতে ভরপুর তরমুজ। বিশেষ করে তরমুজের বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজের বীজে মুরগির মাংসের চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রোটিন আছে। তাই তরমুজ খাওয়ার সময় এই বীজগুলো ফেলে না দিয়ে খেতে পারেন। 

ফিটনেস প্রশিক্ষক ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজ একটি ভিওতে বলেন, ‘‘তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল যেটা আমরা করে থাকি সেটা হলো তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে আলাদা করে ফেলি। আপনি জানতে অবাক হবেন প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে গড়ে ২৬-২৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সেখানে প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজের বীজে ২৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এই ২৯ গ্রাম প্রোটিন আমরা ভুলবশত ছাড়িয়ে আলাদা করে ফেলি।’’

যেকোন রকম ফলমূল যখন আমরা আঁশসহ বা বীজসহ খাই তখন সেটা আমাদের রক্তে চিনির বেড়ে যাওয়া গতি কমিয়ে দেয়। এখন অনেকে ভাবতে পারেন, তরমুজের বীজ খেলে পেট খারাপ হবে না তো?

আরো পড়ুন:

আমরা কেন ঘুমাই

মাথা ঘোরার সমস্যা হলে কেন চেকআপ করা জরুরি

না। গবেষকেরা বলছেন, তরমুজের বীজ খাওয়া পুরোপুরি নিরাপদ। এবং এটা মানবদেহের হজম প্রক্রিয়ার পক্ষেও ভালো। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তরম জ র ব জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ