ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুলকে ডাকা হবে সিঙ্গাপুর ম্যাচে
Published: 24th, April 2025 GMT
১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই ম্যাচের আগে ৫ জুন ঘরের মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত না হলেও সুদান, সাইবেরিয়া এবং ভুটানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
দু-একদিনের মধ্যে প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে বলে গতকাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাফুফে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৩১ তারিখে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। সেদিন জাতীয় দল ঘোষণা করা হবে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৫ জুন একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আমরা সুদানের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে চাইছি। তারাও ঢাকায় আসতে চাইছে।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে ক্যাম্পে রাখা হবে ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামকে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সৌদি আরবে ক্যাম্পে ডাকলেও পরিকল্পনায় নেই বলে ফাহমিদুলকে বাদ দিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। শুধু ফাহমিদুল নন, সামিত সোমকেও জুনের ম্যাচে রাখার চেষ্টা করছে বাফুফে। এর জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে ফেডারেশন। ন্যাশনাল টিমস ম্যানেজমেন্ট কমিটির মিটিংয়ে বুধবার উপস্থিত ছিলেন কোচ ক্যাবরেরাও।
মিটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। ২৬ মার্চ শিলংয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশের জেতা ম্যাচ ছিল বলে সবার অভিমত ছিল। সেখানে কোচের দল নির্বাচনে ভুল ছিল বলে আলোচনায় উঠে আসে। কোচও তাঁর যুক্তি তুলে ধরেন। দল নির্বাচনে একটা নির্বাচক কমিটি গঠনের প্রস্তাব হয়েছে। সেই কমিটিতে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররা। বিদেশ থেকে গোলরক্ষক কোচ আনার প্রস্তাব করা হয়েছে সভায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।