বেশিরভাগ মানুষই সকালবেলা চা বা কফি দিয়ে তাদের দিন শুরু করেন। তাদের ভাষায়, সকালে এক কাপ চা-কফি না খেলে ঘুম ঘুম বা ক্লান্তি ভাব কাটে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। যদি শরীর সুস্থ রাখতে চান কিংবা হজম ক্ষমতা বাড়াতে চান তাহলে চা, কফি নয় বরং লেবু, হলুদ আর পানি দিয়ে তৈরি পানীয় দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। এতে শরীর খুব ভালো থাকবে। এই পানীয়টি খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাবেন-
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
লেবু আর হলুদের পানীয় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদে থাকা প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন এবং লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
সকালে লেবু, হলুদের পানি খেলে হজম শক্তি বাড়বে। অ্যাসিডিটির সমস্যা কমবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও কমবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে
ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে অবশ্যই লেবু, হলুদের পানি খান। হলুদে প্রচুর পরিমাণে আন্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি থাকে। যা ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ত্বক চকচকেও রাখে।
দ্রুত ওজন কমবে
যদি আপনি দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাহলে হলুদ আর লেবু পানি খেতে পারেন। এটি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বার করে দেবে , ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এমনকি পেটের বাড়তি মেদও ঝরবে।
লেবু আর হলুদের পানি কীভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে এক গ্লাস গরম পানি নিন, তাতে এক চামচ হলুদ দিন। তারপর কালো গোলমরিচ দিতে পারেন। চাইলে সামান্য মধু দিতে পারেন। এতে স্বাদ বাড়বে। ভালো করে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। এক সপ্তাহ এভাবে খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন। তবে অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজমশক ত হল দ র প ন ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস