যে কোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভা চত্বরে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কমিটির আয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারেক রহমান। এতে পঞ্চগড় অংশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি শুরু হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের সময় পঞ্চগড় ছাড়াও দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ জেলা থেকে কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমরা সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে একসঙ্গে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে সামনে নিয়ে যেতে। কোনোভাবেই যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ, মানুষের ভোটের অধিকার, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার এবং মানুষের ভোটের অধিকার যদি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সবকিছু বাধাগ্রস্ত হবে। বিগত ১৫ বছরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। সমাজে বিভিন্ন প্রকার অধঃপতন শুরু হয়েছে, অনাচার শুরু হয়েছিল।

তারেক রহমান বলেন, আমরা সুযোগ পেলে ৩১ দফার বাস্তবায়ন করব। একইভাবে আমরা যে সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছিলাম, বিগত পনেরো বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রামে আমাদের বহু নেতাকর্মী গুম খুনের শিকার হয়েছেন, বহু নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, তাদের এই বলিদানকে কোনোভাবে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে যুদ্ধ না হলে শিশু হত্যা হয় না, কিন্তু জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আমরা দেখেছি সেই পলাতক স্বৈরাচারের নির্বিচার অত্যাচারের কারণে এই দেশে একশোর মতো শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই শিশুদের বলিদান ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড.

মাহাদী আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু পঞ্চগড়ে দিনভর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন গণতন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু
  • নতুন কর্মসূচি দিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল