সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত, আয়োজন পিছিয়ে গেল আগামী বছরে
Published: 24th, April 2025 GMT
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তার অবসান হলো অবশেষে। তবে কাঙ্ক্ষিত দিক নয়। টুর্নামেন্টটি এ বছর আর হচ্ছে না। এক বিজ্ঞপ্তিতে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) জানিয়েছে, ২০২৬ সালে নতুন সূচিতে এটি আয়োজিত হবে।
মূলত লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ ও মার্কেটিং পার্টনারের ভেন্যু সংক্রান্ত আপত্তির কারণে ২০২৫ সালের জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় নির্ধারিত প্রতিযোগিতাটি এখন স্থগিত রাখতে হয়েছে। সাফ জানায়, এ বিষয়ে তাদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
এর আগে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি বাস্তবায়নে সময় ও খরচ বেশি হওয়ায় বিকল্প পথ খুঁজে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কার নাম চূড়ান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত সেটিও বাতিল করতে হয়।
আরো পড়ুন:
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
চ্যাম্পিয়নরা বুঝে পেল বিসিবির পুরস্কার
সাফ নির্বাহী সদস্য আলি উমর বলেন, “আমাদের মার্কেটিং সহযোগী জার্মান স্পোর্টস মার্কেটিং সংস্থা স্পোর্টসফাইভ ভারতের মতো বাজারকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। কারণ, সেখানে স্পনসরশিপের সুযোগ বেশি।” সাফের নিজস্ব তহবিল সীমিত হওয়ায় স্পোর্টসফাইভের পছন্দ উপেক্ষা করে আয়োজন সম্ভব হচ্ছিল না।
এদিকে সামনে রয়েছে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ। যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আগামী বছরের জন্যও এখনও সুনির্দিষ্ট সময়সূচি দিতে পারেনি সাফ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্বকাপের বছরের প্রেক্ষাপটে আমাদের টুর্নামেন্টের সময় ও ভেন্যু নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা চাই সবাই আমাদের পাশে থাকুক; সমর্থক, মিডিয়া ও সদস্য দেশগুলো। যেন আমরা সম্মানের সঙ্গে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারি।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি