ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ করতে কার্লো আনচেলত্তির বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। আলোচনা শেষে, ভিনিসিয়াস-রাফিনিয়াদের পরবর্তী কোচ হিসেবে ডন কার্লোকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্রাজিল। 

কার্লো আনচেলত্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ব্রাজিল থেকে তিনজন প্রতিনিধি দল স্পেনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একজন এজেন্ট ও বাকি দু’জন সিবিএফের প্রেরিত প্রতিনিধি। তারা সরাসরি ডন কার্লোর সঙ্গে কথা বলেননি বা বলছেন না। কারণ এটি নিয়মের পরিপন্থী। ব্রাজিলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করছেন কার্লো আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি। 

সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএন ব্রাজিল দাবি করেছে, ব্রাজিলের ওই প্রতিনিধি দল শনিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের কোপা দেল রে’র ফাইনাল দেখবে। যদিও সিবিএফের পক্ষ থেকে স্পেনে কোন প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়টি নাকোচ করা হয়েছে। 

গোল জানিয়েছে, বার্সেলোনার বিপক্ষে লিগ কাপের এই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ হারলে তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই হতে পারেন কার্লো। সেক্ষেত্রে মে’র শুরুতে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে ইতালিয়ান বসের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তবে রিয়াল কোপা দেল রে’র ফাইনালে জিতে গেলে লিগ মৌসুম পর্যন্ত রিয়ালের ডাগ আউটে দেখা যেতে পারে তাকে। 

এর আগে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ডন কার্লো কোপা দেল রে ও লা লিগা জিতলেও মৌসুম শেষে তাকে ছাঁটাই করা হবে। এমনকি লিগ শেষে সমঝোতার মাধ্যমে চাকরি ছেড়ে ব্রাজিলের চাকরি নিতে পারেন সাবেক বায়ার্ন, পিএসজি ও চেলসির কোচ। সেক্ষেত্রে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো সোলারিকে দায়িত্ব দিতে পারে রিয়াল। ফুটবল দলবদল বিষয়ক সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দিয়েছেন এই তথ্য। 

রিয়াল মাদ্রিদ লিগের শেষ ম্যাচ খেলবে ২৫ মে। তার আগে কার্লো চাকরি না হারালে অপেক্ষা করতে হতে পারে ব্রাজিলের। সেক্ষেত্রে আছে অন্য সমস্যা। ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪ জুন ও ৯ জুন ম্যাচ খেলবে। ২৫ মে’র আগেই ওই দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করতে হবে। লিগ মৌসুম শেষেও কার্লোকে নেওয়ার প্রশ্নে ব্রাজিল অটল থাকলে দল ঘোষণার ক্ষেত্রে অন্য কোন উপায় বের করতে হবে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল স ব এফ

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ