আনচেলত্তি বিষয়ে ব্রাজিলের দ্বিতীয় দফা আলোচনা
Published: 25th, April 2025 GMT
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ করতে কার্লো আনচেলত্তির বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা করেছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। আলোচনা শেষে, ভিনিসিয়াস-রাফিনিয়াদের পরবর্তী কোচ হিসেবে ডন কার্লোকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্রাজিল।
কার্লো আনচেলত্তির বিষয়ে আলোচনা করতে ব্রাজিল থেকে তিনজন প্রতিনিধি দল স্পেনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একজন এজেন্ট ও বাকি দু’জন সিবিএফের প্রেরিত প্রতিনিধি। তারা সরাসরি ডন কার্লোর সঙ্গে কথা বলেননি বা বলছেন না। কারণ এটি নিয়মের পরিপন্থী। ব্রাজিলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করছেন কার্লো আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি।
সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএন ব্রাজিল দাবি করেছে, ব্রাজিলের ওই প্রতিনিধি দল শনিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের কোপা দেল রে’র ফাইনাল দেখবে। যদিও সিবিএফের পক্ষ থেকে স্পেনে কোন প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়টি নাকোচ করা হয়েছে।
গোল জানিয়েছে, বার্সেলোনার বিপক্ষে লিগ কাপের এই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ হারলে তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই হতে পারেন কার্লো। সেক্ষেত্রে মে’র শুরুতে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে ইতালিয়ান বসের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তবে রিয়াল কোপা দেল রে’র ফাইনালে জিতে গেলে লিগ মৌসুম পর্যন্ত রিয়ালের ডাগ আউটে দেখা যেতে পারে তাকে।
এর আগে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ডন কার্লো কোপা দেল রে ও লা লিগা জিতলেও মৌসুম শেষে তাকে ছাঁটাই করা হবে। এমনকি লিগ শেষে সমঝোতার মাধ্যমে চাকরি ছেড়ে ব্রাজিলের চাকরি নিতে পারেন সাবেক বায়ার্ন, পিএসজি ও চেলসির কোচ। সেক্ষেত্রে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো সোলারিকে দায়িত্ব দিতে পারে রিয়াল। ফুটবল দলবদল বিষয়ক সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দিয়েছেন এই তথ্য।
রিয়াল মাদ্রিদ লিগের শেষ ম্যাচ খেলবে ২৫ মে। তার আগে কার্লো চাকরি না হারালে অপেক্ষা করতে হতে পারে ব্রাজিলের। সেক্ষেত্রে আছে অন্য সমস্যা। ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪ জুন ও ৯ জুন ম্যাচ খেলবে। ২৫ মে’র আগেই ওই দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করতে হবে। লিগ মৌসুম শেষেও কার্লোকে নেওয়ার প্রশ্নে ব্রাজিল অটল থাকলে দল ঘোষণার ক্ষেত্রে অন্য কোন উপায় বের করতে হবে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।