মেসিদের বিশ্বজয়ের মঞ্চে আফঈদা-শাহেদাদের রোমাঞ্চ
Published: 25th, April 2025 GMT
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে যেন ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফিরে গিয়েছিলেন আফঈদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার। যেদিন বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আকাশি–সাদার জার্সিতে শিরোপা উৎসব করেছিলেন মেসি–দি মারিয়ারা। সেই মঞ্চে পা রেখেই স্মৃতির সাগরে ডুব দেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই দুই ফুটবলার।
আর্থনা সম্মেলনে যোগ দিতে গত সোমবার চার দিনের সফরে কাতার গিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যে সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হয়েছিলেন আফঈদা ও শাহেদা এবং জাতীয় নারী দলের দুই ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা। আজ ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেই সফরের দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথাই বলেছেন এই চার খেলোয়াড়।
নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা বলেন, ‘আসলে অনুভূতিগুলো বলে বোঝানো যাবে না। মেসি যখন টুক টুক করে হেঁটে বিশ্বকাপটা উঁচিয়ে ধরেছিল, সেই মুহূর্তটা চোখে ভাসছিল। তাদের ড্রেসিংরুম, অনুশীলন–ওয়ার্মআপের জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সবকিছু স্বপ্নের মতো লেগেছে।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাতার সফরের অভিজ্ঞতা শোনান চার নারী ক্রীড়াবিদ (বাঁ থেকে) আফঈদা, শাহেদা, সুমাইয়া ও শারমিন। মাঝে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উপ–প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস