কোপা দেল রে’র রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ম্যাচ পরিচালনা করবেন রেফারি রিকার্ডো বুর্গোস বেনগোচিয়া। এর আগেও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। তখন তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে লস ব্লাঙ্কোসরা। রিয়াল মাদ্রিদ ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে তার সমালোচনা করা হয়।

ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন বুর্গোস একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে উল্লেখ করেন, তার ইমেজ নষ্ট করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাকে ‘চোর’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।  যে কারণে তার ছেলেকে স্কুলে ‘চোরের ছেলে’ বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এর পরই রিয়াল মাদ্রিদ কোপার ফাইনাল থেকে বুর্গোসকে প্রত্যাহার চায়। তার অধীনে সুষ্ঠু ম্যাচ পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ করে যেন, বুর্গোসকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব থেতে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদস্বরূপ রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ পূর্ব অনুশীলন ও সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেন।

এই ঘটনায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে রীতিমতো ধুঁয়ে দিয়েছেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস। তার মতে, রিয়াল মাদ্রিদ স্প্যানিশ ফুটবলের উন্নতি চায় না, কর্তৃত্ব করতে চায়। ফুটবলের মালিক হতে চান পেরেজ।

তেবাস এক্সে (টুইটার) মনের ক্ষোভের ঝাপি খুলে দিয়ে লেখেন, ‘তিনি (পেরেজ) তেবাসকে পছন্দ করেন না, কারণ তেবাস তার ইচ্ছেমত কাজ করেন না। তার সেফরিনকে (উয়েফা প্রেসিডেন্ট) ভালো লাগে না, কারণ সেফরিন তার কথা মতো চলেন না। লওজানকে (স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল লওজান) পছন্দ নয়, কারণ লওজান তার দ্বারা প্রভাবিত নন। ধারাভাষ্যকারদের তিনি সহ্য করতে পারেন না, কারণ তারা উনি যা শুনতে চান তা বলেন না।’

ফুটবলের মালিক হওয়ার স্বপ্নে পেরেজ ফুটবলকে ধ্বংস করছেন বলেও মন্তব্য করেন তেবাস, ‘যে সকল সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা উনি মানেননি, কারণ তা পছন্দ হয়নি। এখন উনি রেফারিদের পেছনে লেগেছেন। মাদ্রিদ টিভিতে তাদের মুণ্ডোপাত করা হচ্ছে। এতে রেফারিরা প্রতিক্রিয়া দেখানোয় তিনি অনুশীলন বর্জন করছেন, সংবাদ সম্মেলন করবেন না, এমনকি ম্যাচও খেলবেন না। তিনি (পেরেজ) তো কোন অভিযোগ করছেন না, তিনি হুমকি দিচ্ছেন। তিনি ফুটবল রক্ষা করছেন না, সাজা দিচ্ছেন। তিনি ফুটবলের উন্নতি নয় মালিক হতে চান।’

তেবাস দাবি করেছেন, রেফারি বদল চাওয়া পেরেজের কূটকৌশলের অংশ। তিনি চাপ সৃষ্টি করছেন। যাতে রেফারিরা চাপে থাকেন। তেবাস এও বলেন, পেরেজ ফুটবলে যে মাফিয়াবৃত্তি করেন, এটা কিছু ব্যক্তিদ্বারা বৈধ্য প্রমাণের চেষ্টা করেন, সাফাই গাওয়ান এবং এটাকে স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’

গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।

বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’

মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজ

এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’

সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ