যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই বছরের শিশুকে নির্বাসন
Published: 26th, April 2025 GMT
দুই বছর বয়সী মার্কিন নাগরিককে ‘কোনো যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই’ নির্বাসিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার এক ফেডারেল বিচারক বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন দুই বছর বয়সী শিশুকে ‘কোনো যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই’ নির্বাসিত করেছে। শিশুটির বাবা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জজ টেরি এ ডাউটি জানান, আদালতের নথিতে মেয়েটিকে ‘ভিএমএল’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে তার মায়ের সঙ্গে নির্বাসিত করা হয়েছে।
ডাউটি বলেন, ‘একজন মার্কিন নাগরিককে নির্বাসিত করা, নির্বাসনের জন্য আটক করা বা নির্বাসনের সুপারিশ করা অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। সরকার যে একজন মার্কিন নাগরিককে কোনো যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই নির্বাসিত করেছে, আমাদের এই সন্দেহ দূর করা প্রয়োজন।’ তিনি আগামী ১৯ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
ট্রিশ ম্যাকের করা অভিযোগ অনুসারে, ভিএমএলকে মঙ্গলবার তার মা জেনি ক্যারোলিনা লোপেজ ভিয়েলা এবং বড় বোনের সঙ্গে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) আটক করে। তখন ভিয়েলা নিউ অরলিন্স অফিসে একটি নিয়মিত সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন।
ম্যাক জানান, বাবা যখন ভিয়েলার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন মা ও শিশুরা কান্না করছিল।
তবে আইনজীবীরা বলেন, ভিয়েলা যার আইনি হেফাজত রয়েছেন, তিনি আইসিইকে জানিয়েছেন, তিনি শিশুটিকে তাঁর জিম্মায় রাখতে চান এবং তাকে হন্ডুরাস নিয়ে যেতে চান।
শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ভিএমএলের স্বার্থে তাকে মায়ের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এতে ক্ষতির ঝুঁকি নেই।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এই ঘটনাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
অবৈধ অভিবাসীকে সহায়তা করায় বিচারক গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াকি কাউন্টি সার্কিট কোর্টের বিচারক হান্না ডুগানকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল জানান, আদালত প্রাঙ্গণে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে অভিযুক্ত এদুয়ার্দো ফ্লোরেস-রুইজকে পালাতে সহায়তা করেন বিচারক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ন র ব স ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।