রাজনৈতিক সরকার অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে শক্তিশালী: টুকু
Published: 27th, April 2025 GMT
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “১৪, ১৮ এবং ২৪ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ চায় একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন। তারা নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তার পছন্দ মতো সরকার চায়।”
তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক ও নির্বাচিত সরকার যে কোনো অনির্বাচিত সরকারের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। কাজেই আমরা মনে করি, এ মুহুর্তে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সবার আগে প্রয়োজন। আমাদের দলের দাবির সঙ্গে এ দেশের জনগণও তাই চায়।”
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বিবেকানন্দ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১২ জুন বিবেকানন্দ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে।
আরো পড়ুন:
প্রশাসনে আ.
আ.লীগের সঙ্গে যারা আঁতাত করছেন, তাদের ছাড় নয়: টুকু
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “বিএনপি ৩১ দফা উপস্থাপন করেছে, আগামী বাংলাদেশ কিভাবে চলবে সে বিষয়ে। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারা চাচ্ছেন আগে জাতীয় নির্বাচন হোক। আমরা এই ধারায় রয়েছি। পরবর্তীতে সরকার কী সিদ্ধান্ত দেবে এটি আমরা বলতে পারব না। যেহেতু, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছি, বাংলাদেশের জনগণের সেই প্রত্যাশা এই সরকার পূরণ করবে এটিই আমরা কামনা করি।”
তিনি আরো বলেন, “৩১ দফা দাবির মধ্যে শিক্ষা, যুবকদের কর্মসংস্থান, বেকার ভাতা, স্বাস্থ্যের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ফ্যামেলি কার্ড দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবার এ ফ্যামেলি কার্ড পাবে। স্বাস্থ্যর জন্য বীমার কথাও চিন্তা করছি আমরা। বিগত সময়ে বিএনপি জাতির সামনে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল রহমান খান শফিক, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫