যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণের ১ মাস পর মামলা, গ্রেপ্তার ২
Published: 27th, April 2025 GMT
যশোরে ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, রেজাউল ইসলামের জমি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তিনি জীবিত আছেন, নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। অভিযানের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন এবং কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
আরো পড়ুন:
এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ
জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য রেজাউল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমিসহ বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সবুজ ও রিপনের সহায়তায় ২১ লাখ টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলে সবুজ ও রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন রেজাউলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
রেজাউলের পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপন এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তখন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি, বরং তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামে এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, রেজাউলের অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রেজাউলের কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।
রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরায় অভিযান চালাচ্ছে। তিনিও অভিযানে সঙ্গে আছেন। এখনো তার বাবার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
ঢাকা/রিটন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ র জ উল র ল ইসল ম ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০), বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বন্দর থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা পুলিশ ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।