যশোরে ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করার পর শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, রেজাউল ইসলামের জমি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে তিনি জীবিত আছেন, নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। অভিযানের স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা করতেন এবং কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

আরো পড়ুন:

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

পরবর্তীতে ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য রেজাউল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতক জমিসহ বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সবুজ ও রিপনের সহায়তায় ২১ লাখ টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলে সবুজ ও রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে নেন রেজাউলকে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

রেজাউলের পরিবার প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপন এবং অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তখন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়নি, বরং তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামে এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, রেজাউলের অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রেজাউলের কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত অব্যাহত আছে।

রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতক্ষীরায় অভিযান চালাচ্ছে। তিনিও অভিযানে সঙ্গে আছেন। এখনো তার বাবার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি। 
 

ঢাকা/রিটন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ র জ উল র ল ইসল ম ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট–এনআইডিও
  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
  • দুদকের অভিযান: ঘুষসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী আটক
  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক