সময়টা আশির দশক; এরশাদের সামরিক শাসন চলছে। প্রতিবাদে চলছে রাজপথে আন্দোলন! কৈশোর থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটছে তারুণ্যে। ছড়া লিখছি স্থানীয় পত্রপত্রিকায়! বরিশাল শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠন বরিশাল কবিতা পরিষদ, অক্ষর সাহিত্য পরিষদের সব আসরে নিয়মিত আমিও। পড়ছি কবিতা কবিতা আর কবিতা!

আমরা তখনই নাজিম হিকমাত পড়ি! শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, শহীদ কাদরী, আবুল হাসান, আসাদ চৌধুরী, রফিক আজাদ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ আমাদের নিত্যসঙ্গী। আর ছিলেন দাউদ হায়দার।

দাউদ হায়দারের নাম বিশেষভাবে উচ্চাতি হতো। কারণ, কবিতা লেখার অপরাধে তাঁকে মাতৃভূমি ছাড়তে হয়েছিল! এ ছাড়া লিখেছিলেন নতুন জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের নতুন কবিতা! ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার বইটি যেন স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। দাউদ হায়দারের গদ্যও অসাধারণ তাঁর কবিতার মতো। আমরা যারা সাংবাদিক দাউদ হায়দারের কলাম পড়তাম, তারা জানি কত সহজে তিনি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি নিয়ে লিখতে পারতেন।

দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত কবিতায় ধর্মবিরোধিতার অভিযোগে ১৯৭৩ সালে দাউদ হায়দারকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গোপনে একটি বিমানে একমাত্র যাত্রী হিসেবে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশছাড়া দাউদ হায়দারকে কলকাতায় আশ্রয় দিয়েছিলেন কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়; নিজের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে। 
শোনা যায়, সেই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং!

এ সময় কলকাতা আসেন জার্মান কবি ও কথাশিল্পী গুন্টার গ্রাস। এ উপলক্ষে যে সাহিত্যের আয়োজন, তার পুরো দায়িত্বে ছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়। তিনি গ্রাসকে বলেন, দাউদ হায়দারকে জার্মানিতে আশ্রয় দেওয়া যায় কিনা। গুন্টার গ্রাস জার্মানিতে ফিরে সেখানকার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দাউদকে জার্মানিতে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
জার্মানিতে প্রথমে দাউদ হায়দার গ্রন্টার গ্রাসের প্রাইভেট সেক্রেটারি ছিলেন কিছুদিন। তারপর ডয়চে ভেলে রেডিওতে চাকরি নেন।
২০০৭ সালে আমার ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় আমন্ত্রিত প্রকাশক হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়। কবি শামসুর রাহমান ও গুন্টার গ্রাসের বড় আকারের পোস্টার ছেপে নিয়ে যাই। সেখানে খোদ গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে দেখা হবে– কল্পনাতেও ছিল না। কিন্তু সেই সুযোগ করে দেন এমন আরেকজন, যাঁর সঙ্গে দেখা হওয়াও কল্পনায় ছিল না।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার আমন্ত্রিত প্রকাশদের জন্য ৬ দিন নানা সেমিনার কর্মসূচিতে থেকে ক্লান্ত আমি যখন বাংলা বলার লোক খুঁজে পাচ্ছি না, তখন এক সকালে ক্যাপ পরিহিত এক ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা মেলা সেন্টারে! দেখেই চিনে ফেলি তাঁকে! বলি, আপনি তো মনে হচ্ছে কবি দাউদ হায়দার! নিজেই নিজের পরিচয় তুলে ধরি তাঁর কাছে! কিন্তু তিনি কোনো কারণে চটে ছিলেন। বললেন, দেশে এত বড় বড় প্রকাশক থাকতে আপনি কোন ধান্দা করে এখানে চলে এলে! আমি উত্তর দেওয়ার কোনো ভষা খুঁজে পেলাম না! পাল্টা মেজাজ দেখিয়ে বললাম, এরা ছোট প্রকাশকদের ট্রেনিং দেয় বই প্রকাশনা নিয়ে। তাই সব সময় বড় প্রকাশকদের ডাকে না। উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলে মনে হলো না। আমারও মনে হয়েছিল, প্রবাসী এই কবির সঙ্গে বোধ হয় এখানেই ইতি।

অবাক করার বিষয়, পরদিন সকালেই দাউদ হায়দার এলেন শ্রাবণ প্রকাশনীর স্টলে। আমাদের বইপত্র দেখে দারুণ খুশি। তিনি নিজে থেকে বললেন, রবীন, আমি দুঃখিত আপনাকে গতকাল বাজেভাবে বকেছি! কবি দাউদ হায়দার হয়ে উঠলেন ‘দাউদ ভাই’। অন্য কথায় বন্ধু দাউদ হায়দার। হোয়াইট ওয়াইন হাতে প্রতিদিন স্টলে আসেন; প্রবাসী বাঙালি লেখক-পাঠকদের সঙ্গে চলে মজার আড্ডা। 
একদিন দুপুরে দাউদ ভাই এসে বলেন, রবীন, আপনি কি গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে মিট করতে চান? আমি বললাম, বলেন কী! চাই না মানে! কিন্তু এও কি সম্ভব? দাউদ ভাই বললেন, গুন্টার গ্রাস বইমেলার জন্য এসেছেন। পাশের একটা হোটেলে আছেন। তাঁর সেক্রেটারির সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল খুব সকালে যেতে হবে। সেই সঙ্গে গুন্টার গ্রাসের পোস্টার নিয়ে আপনিও চলুন।
অনেক সকালে উঠতে হবে শুনে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল। রাতে আর ঘুমালাম না। সকালে পোস্টার নিয়ে ট্রেনে চলে এলাম ম্যাসেসেন্টারে। গুন্টার গ্রাসের দুই সেক্রেটারি পোস্টারটা দেখলেন। তারপর আমাদের দু’জনকে নিয়ে হোটেলের মধ্যে নিয়ে গেলেন। একটা টেবিলে তখন সকালের নাশতা খাচ্ছিলেন গ্রাস। দাউদ ভাই আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের তরুণ প্রকাশক ও লেখক হিসেবে। আমার তখন নোকিয়া বাটন ফোন ছিল। কয়েকটা ছবি তুলে দিলেন গুন্টার গ্রাসের একজন সেক্রেটারি। তিনি তখনও নোবেল পাননি। বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতি শেয়ার করলেন সেই ছোট্ট সাক্ষাতে। আমি বলতে গেলে কোনো কথাই বললাম না। দুই গুণী মানুষের পাশে বসে শুধু শুনছিলাম।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার শেষ চার দিন দাউদ ভাইয়ের জন্য হয়ে উঠল অনেক আনন্দের! গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে ছবি তুলে এনে আয়োজকদের দেখালাম। ওরাও খুব খুশি! একজন বললেন, কীভাবে সম্ভব হলো, রবীন? আমি বললাম, আমাদের দেশের নামকরা কবি-সাংবাদিক দাউদ হায়দার গুন্টার গ্রাসের বন্ধু! 
সেবার দাউদ হায়দারের দেশ থেকে বের করে দেওয়া বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে কোনো প্রশ্ন করলাম না। কারণ তো কিছুটা জানি। বাংলাদেশের বই, লেখকসহ নানা বিষয়ে দাউদ ভাইয়ের সঙ্গে গল্প চলতে থাকে। একজন নিঃসঙ্গ প্রবাসে থাকা কবির সব কথা শোনার মতো বয়সও আমার হয়নি। তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো থাকতে ভালো লাগত। দাউদ হায়দারের বড় ভাই রশীদ হায়দার ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল– এটা শুনে অনেক খুশি হয়েছিলেন।  

দাউদ ভাই দেশে ফিরতে চাইতেন। বলতেন, দেশ তো মায়ের মতো। একটা বেদনা তাঁর সব সময় ছিল। আমিও ভাবি, মাত্র ১০ দিন দেশ ছেড়ে আমি বিদেশের মাটিতে পাগল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। পেট ভরে সাদা ভাত-ডাল খাব, তাও কোথাও পাই না। আর এই কবি মা-বাবা, ভাই-বোন ছাড়া বছরের পর বছর আছেন কী করে!
দেশ ছেড়ে, মা ছেড়ে থাকার কষ্টের কথা দাউদ হায়দার কবিতায় লিখে গেছেন ১৯৮৩ সালে; কলকাতায় অবস্থানকালে।
‘মাঝে মাঝে মনে হয়
অসীম শূন্যের ভিতরে উড়ে যাই। 
মেঘের মতন ভেসে ভেসে, একবার
বাংলাদেশ ঘুরে আসি। 
মনে হয়, মনুমেন্টের চুড়োয় উঠে 
চিৎকার করে
আকাশ ফাটিয়ে বলি:
দ্যাখো, সীমান্তের ওইপারে আমার ঘর
এইখানে আমি একা, ভিনদেশী।’
(তোমার কথা, দাউদ হায়দার)

রবীন আহসান: কবি ও প্রকাশক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র হয় ছ ল বলল ন বলল ম বইম ল কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী

প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”

 

শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।

লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।

স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, ‍“হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?” 

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”

বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • দুবাইয়ে বিকৃত যৌন ব্যবসা চক্রের প্রধানকে চিহ্নিত করল বিবিসির এক অনুসন্ধান
  • মহানবী (সা.)–এর ইন্তেকালের পরে শাসন নিয়ে যা ঘটেছে
  • কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ ও ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
  • সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
  • ৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে