পালাতে চেয়েও কি ফিরেছিলেন পেলেরা
Published: 28th, April 2025 GMT
ডেথ ম্যাচ।
সাবেক সোভিয়েত ইতিহাসবেত্তাদের দেওয়া নাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে কিয়েভে রুটি তৈরির কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিক ফুটবল ম্যাচ খেলেছিল জার্মান নাৎসি বাহিনী। ডেথ ম্যাচ—এই ম্যাচগুলোরই আরেক নাম।
দিনামো কিয়েভ ও লোকোমোটিভ কিয়েভের সাবেক ফুটবলারদের জার্মান সৈন্যদের জন্য রুটি তৈরি করতে কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল নাৎসি বাহিনী। তাঁদের সঙ্গে ১৯৪২ সালের ৬ আগস্ট ও ৯ আগস্ট দুটি ফুটবল ম্যাচ খেলে নাৎসিদের দল ফ্লাকেল্ফ। দুই ম্যাচেই হারের পথে মাত্র ৪ গোল দেওয়ার বিপরীতে ১০ গোল হজম করেছিল ফ্লাকেল্ফ।
যুদ্ধকালীন প্রপাগান্ডা ও সোভিয়েত মিথ অনুযায়ী, দুটি ম্যাচেই হারের পর কিয়েভ সিটি দলের কিছু কিংবা সব ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করে মেরে ফেলা হয়। কারণ? জার্মানদের বাজে হার। ডেথ ম্যাচ নামকরণের এটাই শিকড়।
রুপালি পর্দায় এই ডেথ ম্যাচের গল্প অবলম্বনে কিংবা গল্পের রূপরেখা ঈষৎ পাল্টে দুটি বিখ্যাত সিনেমাও বানানো হয়। ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া জোলতান ফাব্রির ‘টু হাফ টাইমস ইন হেল’। হাঙ্গেরিয়ান এই সিনেমায় অবশ্য সোভিয়েত-ইউক্রেনিয়ান নয়, হাঙ্গেরিয়ান শ্রমিকদের খেলতে দেখা যায়।
পেলে ও ববি মুরের সঙ্গে কোলবি চরিত্রে কেইন (বাঁ থেকে তৃতীয়).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।