ছুটির নেশা পেয়ে বসেছে ফুটবল কোচ ক্যাবরেরাকে!
Published: 28th, April 2025 GMT
ছুটি কাটিয়ে ২২ এপ্রিল এসেছেন ঢাকায়। ময়মনসিংহে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা সেদিন দেখেছিলেন। পাঁচ দিন না যেতেই আবার ছুটিতে নিজ দেশ স্পেনে চলে গেছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। যেন ছুটির নেশা পেয়ে বসেছে জাতীয় ফুটবল দলের কোচকে।
বাংলাদেশের ফুটবলে ছুটির ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি ডে। চুক্তির বাইরেও বেশি ছুটি কাটিয়েছিলেন ইংলিশ এ কোচ। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ খেলার পর ছুটিতে চলে যান ক্যাবরেরা। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসার পর ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জাতীয় দলের পরিকল্পনা তাঁর কাছে জানতে চান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। সেখানে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরা ক্যাবরেরার হঠাৎ নিজ দেশে চলে যাওয়াকে ভালোভাবে দেখছেন না বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেকে।
গতকাল ক্যাবরেরার ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বল ঠেলে দেন জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির কোর্টে। বিকেলে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি তাঁর (ক্যাবরেরা) বাবা অসুস্থ, তাই স্পেন গেছেন। পারিবারিক সমস্যা হলে তো করার কিছু থাকে না। আশা করি, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র ক য বর র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।