আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটেই, চুক্তি চূড়ান্ত সই বাকি
Published: 29th, April 2025 GMT
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। ইতালিয়ান বস চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। শুধু সই করা বাকি। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা এই খবর দিয়েছে।
কবে দায়িত্ব নেবেন : ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আগেই নিশ্চিত করেছে, ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না তারা। যা করার জুনের আগেই করতে হবে। কার্লো আনচেলত্তি ওই শর্তে রাজি হয়েছেন। তিনি ২৫ মে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ লিগ ম্যাচের পর ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
চুক্তি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, তবে.
.. : সেলেসাওদের ডাগ আউটে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৫ জুনের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, চেলসি ও পিএসজির কোচ ডন কার্লোর। সিবিএফের সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্য চুক্তি করবেন তিনি। তবে চুক্তি পক্ষে ২০৩০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেলেসাওদের কোচ হওয়ার ঐচ্ছিক শর্ত থাকবে।
নিরব চুক্তি, রাজকীয় বিদায় : ব্রাজিলের সঙ্গে নিরবেই চুক্তি করতে হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির। কারণ এক দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থেকে অন্য দলের কোচ হিসেবে চুত্তিপত্রে সই করার নিয়ম নেই। সংবাদ মাধ্যমের মতে, ৫ ও ৯ জুনের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণার ক্ষেত্রেও আনচেলত্তি মতামত দেবেন। রিয়ালে তিনি চলতি মৌসুমে কিছুই না জিতলেও লস ব্লাঙ্কোসদের পক্ষ থেকে তাকে রাজসীক বিদায় দেওয়া হবে বলে দাবি করেছে মার্কা।
কোচ নিয়ে দোটানায় রিয়াল : কার্লো আনচেলত্তি চাকরি ছাড়লে তার জায়গায় রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফুটবলার ও বায়ার লেভারকুসেনের কোচ জাবি আলোনসো দায়িত্ব নেবেন। রিয়াল ও আলোনসো এ বিষয়ে সম্মত হলেও আছে জটিলতা। আলোনসো ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দায়িত্ব নিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়াল মাদ্রিদের অন্তবর্তীকালীন কোচ হতে পারেন সান্তিয়াগো সোলারি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি