বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি এবং ২২ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়েরের প্রতিবাদে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মশালমিছিল শেষে তাঁরা মহাসড়কে বসে পড়েন।

রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এ কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণ, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অপসারণ করা অধ্যাপক মুহসিন উদ্দীনকে পুনর্বহাল, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের’ জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধ। মঙ্গলবার রাতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ