Prothomalo:
2025-06-16@08:34:13 GMT

কোন ঘ্রাণে কী উপকার

Published: 1st, May 2025 GMT

ঘ্রাণ ও আবেগের মধ্যে সম্পর্কটির পেছনে ভূমিকা পালন করে মানুষের জৈবিক গঠন। আমাদের ঘ্রাণশক্তি সরাসরি লিম্বিক সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। লিম্বিক সিস্টেম হলো মস্তিষ্কের আবেগকেন্দ্র, যা আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘ্রাণশক্তির সঙ্গে লিম্বিক সিস্টেমের এই সংযোগের কারণেই কিছু ঘ্রাণ স্মৃতি জাগাতে পারে, আবেগ উদ্দীপিত করতে পারে, এমনকি আমাদের আচরণকেও প্রভাবিত করতে পারে। ঘ্রাণ কীভাবে আমাদের মনমেজাজকে প্রভাবিত করে, তা বোঝা প্রয়োজন। বিষয়টি বুঝতে পারলে আমরা নিজেদের প্রয়োজনমতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের ঘ্রাণ নিয়ে শরীর ও মন ভালো রাখতে পারি কিংবা কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারি।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

আবেগ, মেজাজ ও শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়াগুলোর ওপর ঘ্রাণের প্রভাব বোঝার জন্য এর পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলো বোঝা প্রয়োজন। ঘ্রাণের সঙ্গে মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্কটি ভালোভাবে বুঝতে চাইলে আমাদের অলফ্যাক্টরি সিস্টেম, লিম্বিক সিস্টেম ও নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে হবে।

অলফ্যাক্টরি সিস্টেম

অলফ্যাক্টরি সিস্টেম আমাদের ঘ্রাণশক্তির জন্য দায়ী। আমাদের নাকে রয়েছে অনেক অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টর। আমরা যখন কোনো কিছুর ঘ্রাণ নিই বা গন্ধ শুঁকি, তখন ওই ঘ্রাণ বা গন্ধ সৃষ্টিকারী বস্তুর অণুগুলো আমাদের নাকের অলফ্যাক্টরি রিসেপ্টরগুলোর সঙ্গে বিক্রিয়া করে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। পুরো প্রক্রিয়াটির কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের গন্ধ শনাক্ত করতে ও একটি গন্ধের সঙ্গে আরেকটি গন্ধের পার্থক্য করতে পারি। শুধু তা–ই নয়, অতীত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একেকটি গন্ধের সঙ্গে আমরা নিজেদের আবেগ ও জীবনের বিভিন্ন স্মৃতির সংযোগ খুঁজে পাই।

আরও পড়ুনঘ্রাণ শুঁকেই পারকিনসন্স রোগী শনাক্ত করতে পারেন তিনি০৫ এপ্রিল ২০২২লিম্বিক সিস্টেম

লিম্বিক সিস্টেম হলো আমাদের মস্তিষ্কের এমন একটি অংশ, যা সব আবেগের কেন্দ্রস্থল। আমাদের আবেগ, স্মৃতি ও মেজাজ কখন কেমন থাকবে, তা নির্ভর করে আমাদের লিম্বিক সিস্টেমের ওপর। অলফ্যাক্টরি সিস্টেম যখন কোনো গন্ধ শনাক্ত করে, তখন লিম্বিক সিস্টেমে সংকেত পাঠায়। লিম্বিক সিস্টেম তখন আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ও সেই নির্দিষ্ট গন্ধের সঙ্গে সংযোগের ওপর ভিত্তি করে একটি মানসিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ঘ্রাণ ও আবেগের মধ্যে গভীর সম্পর্ক থাকার কারণেই ঘ্রাণ বিভিন্নভাবে আমাদের মনমেজাজকে প্রভাবিত করে।

নিউরোট্রান্সমিটার

নিউরোট্রান্সমিটার হলো মস্তিষ্কের রাসায়নিক বার্তাবাহক। নিউরোট্রান্সমিটার আমাদের মানসিক অবস্থা, স্মৃতিশক্তি, ক্ষুধা, উত্তেজনাসহ বিভিন্ন অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু ঘ্রাণ সেরোটোনিন, ডোপামিন ও এন্ডোরফিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করতে পারে।

আরও পড়ুনকোন ঘ্রাণ মানুষের সবচেয়ে প্রিয়০৭ এপ্রিল ২০২২অতি পরিচিত কিছু ঘ্রাণ ও তার উপকারিতাসাইট্রাস–জাতীয় ফল, যেমন লেবু, কমলা ইত্যাদি ফলের ঘ্রাণ মন ভালো করে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ম র ওপর ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের সার্কেল টু সার্চে আসছে নতুন দুই সুবিধা

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে দ্রুত নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে দিতে গত বছর ‘সার্কেল টু সার্চ’-সুবিধা চালু করে গুগল। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফোনে ভিডিও দেখার সময় বিভিন্ন দৃশ্যে থাকা পণ্যের ছবি নির্বাচন করে সে বিষয়ে সরাসরি গুগলে সার্চের ফলাফল জানা যায়। অর্থাৎ ভিডিওতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির চশমা সার্কেল করলে নিচে চশমাটি-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুগল সার্চের মাধ্যমে দেখার সুযোগ মিলে থাকে। ব্যবহারকারীদের দ্রুত বিভিন্ন তথ্য জানার সুযোগ দিতে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।

জানা গেছে, গুগল অ্যাপের সর্বশেষ বেটা সংস্করণ বিশ্লেষণ করে সার্কেল টু সার্চে নতুন দুই সুবিধা যুক্তের বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছে। গানের তালিকা সংরক্ষণ এবং অনুবাদপ্রক্রিয়া আরও সহজ করতে সক্ষম সুবিধাগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত না হলেও পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করছে।

সার্কেল টু সার্চ ব্যবহার করে গান শনাক্তের সময় পর্দায় বর্তমানে একটি ছোট মিউজিক আইকন দেখা যায়। কিন্তু নতুন সুবিধাগুলো চালু হলে মিউজিক আইকনে যুক্ত হবে একটি অতিরিক্ত বাটন, যা দেখতে অনেকটা ঘড়ির মতো। এই নতুন আইকনের মাধ্যমে সরাসরি প্রবেশ করা যাবে ‘রিসেন্ট সং সার্চ’ নামের একটি মেনুতে। ফলে ব্যবহারকারী সহজেই আগে শনাক্ত করা গানের তালিকা দেখতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, এখানে গানের শিরোনাম, শিল্পীর নাম এবং অ্যালবামের ছবিও দেখা যাবে।

সার্কেল টু সার্চের আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে অনুবাদ সুবিধায়। বর্তমানে কোনো লেখাকে চিহ্নিত করার পর তা অনুবাদ করতে চাইলে ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে হয়। নতুন সুবিধা চালু হলে সার্কেল টু সার্চে কোনো লেখা ট্যাপ করলেই সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদের বাটন পর্দায় দেখা যাবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ