সামিতকে খেলাতে কানাডার অনুমতি পেল বাফুফে
Published: 1st, May 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন কানাডা প্রবাসি ফুটবলার সামিত সোম। এরপর তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে।
সামিতকে খেলানোর বিষয়ে কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের থেকে অনুমতিপত্র পেয়েছে বাফুফে। বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘আজ সকালে কানাডা ফুটবল ফেডারেশন সামিতের অনাপত্তিপত্র পাঠিয়ে চিঠি দিয়েছে।’
আগামী জুনে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলারও চেষ্টা চালাচ্ছে বাফুফে। সামিতকে জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক করানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ফেডারেশন। ওই প্রক্রিয়ার বড় কাজ হলো সামিতের বাংলাদেশের পার্সপোর্ট প্রস্তুত করা।
কানাডা থেকে সামিতের খেলার অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় বাফুফে এখন পার্সপোর্টের আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ, ‘আগামীকাল তার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার কথা। পাসপোর্ট হওয়ার পর ফিফায় আবেদন করা হবে। ১০ জুন ঢাকায় তাকে ম্যাচ খেলানোর জন্য ফেডারেশন সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল