ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের হাতে সনদপত্র তুলে দিলেন সেনাপ্রধান
Published: 8th, May 2025 GMT
সেনাবাহিনীর তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ‘ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৫/১’ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে কোর্সের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অনুষ্ঠানে তিনি ক্যাপস্টোন কোর্স ফেলোদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত এ কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং করপোরেট প্রতিনিধি ৩২ জন ফেলো অংশ নেন।
ক্যাপস্টোন কোর্স সফলভাবে শেষ করায় অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বনির্ভর ও দক্ষ জাতি গঠনে এবং সুসংহত নেতৃত্বের বিকাশে এই কোর্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ক্যাপস্টোন ফেলোরা সম্ভাবনাময় নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে সৃজনশীল চিন্তাধারা, সংস্কারমূলক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে জনস্বার্থে আত্মনিয়োগ করবেন।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক কোর্সের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কলেজের অনুষদ সদস্য, স্টাফ অফিসার এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃক্ষরোপণ পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার পেলেন যার
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ উপলক্ষ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ও চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ এবং সামাজিক বনায়নে সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
জাতীয়ভাবে বন, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ২০১০ সাল থেকে চালু হওয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কারের ২০২৫ সালের চারজন বিজয়ীর মধ্যে রয়েছেন নাটোরের মো. ফজলে রাব্বী (ব্যক্তি পর্যায়), শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি (প্রতিষ্ঠান পর্যায়), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণপদক (দুই ভরি), এক লক্ষ টাকার চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪ পেয়েছেন ব্যক্তি পর্যায়ে মো. মাহমুদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী ও প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লি:, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিটি পদকের সঙ্গে রয়েছে স্বর্ণের সমমূল্যের নগদ অর্থ, ৫০ হাজার টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র।
বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪-এর সাতটি শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন লালমনিরহাটের দলগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, মিজ দিলরুবা রহমান (টাঙ্গাইল), সোহেল নার্সারী (রংপুর), নাটরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এবং বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। পুরস্কারের অংশ হিসেবে প্রদান করা হয় সনদ, ক্রেস্ট ও এক লক্ষ, ৭৫ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকার চেক।
এছাড়াও সামাজিক বনায়নে সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত ১০ জন উপকারভোগীকে সম্মাননা হিসেবে চেক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মো. শাহাজ উদ্দিন পান ৬ লক্ষ ৭ হাজার ৯৫০টাকা, উকিল মুর্মু পান ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩২৫টাকা, মোসা: মনোয়ারা বেগম পান ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৭০০টাকা ।
এই সম্মাননা পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসাহকে আরও জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এসময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: কামরুজ্জামান এনডিসি এবং বন অধিদপ্তরের সম্মানিত প্রধান বন সংরক্ষক জনাব মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//