জুনের মধ্যে আসবে বিদেশি ঋণের সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার: গভর্নর
Published: 14th, May 2025 GMT
আইএমএফের স্ট্যাফ লেভেল সমঝোতা হওয়ায় আগামী জুনের মধ্যে সব মিলিয়ে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আইএমএফ দেবে ১৩০ কোটি ডলার। বাকি ২২০ কোটি ডলার আসবে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবি ও ওপেক থেকে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.
গভর্নর বলেন, বাজারভিত্তিক করার মানেই যে কোনো দরে কিনবে তেমন না। এখন যে দরে বেচাকেনা হচ্ছে তার আশপাশেই থাকবে বলে তিনি আশা করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঋণ র ক স ত আইএমএফ এড ব
এছাড়াও পড়ুন:
রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল বলে জানা গেছে।
গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এখন বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান. রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। যে কারণে চলতি অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পেয়েছে।