ভারতের আপত্তির পরও কেন আইএমএফের ঋণের কিস্তি পেল পাকিস্তান
Published: 15th, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন সামরিক উত্তেজনা চরমে, তখন এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অপ্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
ভারতের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়। সংস্থাটির মতে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এবং দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় পাকিস্তানের সক্ষমতা বাড়াতে ভবিষ্যতে আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে আইএমএফ।
তবে আইএমএফের এই কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। এক বিবৃতিতে দিল্লি দুটি প্রধান উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। প্রথমত, পাকিস্তানের সংস্কার বাস্তবায়নে অতীতের দুর্বল ইতিহাসের কথা তুলে ধরে তারা প্রশ্ন তোলে, এ ধরনের আর্থিক সহায়তা কতটা কার্যকর?
দ্বিতীয়ত, ভারতের আশঙ্কা, এই অর্থ ‘রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট আন্তদেশীয় সন্ত্রাসবাদে’ ব্যবহৃত হতে পারে—যে অভিযোগ ইসলামাবাদ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। ভারতের মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আইএমএফসহ অন্য দাতাদের ‘সুনামের ঝুঁকি’ তৈরি করছে এবং একই সঙ্গে তা ‘আন্তর্জাতিক মূল্যবোধকে হাস্যকর করে তুলছে’।
বিবিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও আইএমএফ প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে পাকিস্তানের অনেক বিশেষজ্ঞও ভারতের প্রথম উদ্বেগকে পুরোপুরি অযৌক্তিক মনে করছেন না। তাদের মতে, ১৯৫৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ বার আইএমএফের সহায়তা নেওয়ার পরও পাকিস্তানে কাঠামোগত বড় পরিবর্তন আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেন, আইএমএফের কাছে যাওয়ার অর্থ হলো, হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়া। কেউ যদি ২৪-২৫ বার আইসিইউতে যায়, তাহলে বোঝা যায়, শরীরে বড় সমস্যা আছে, যা বারবার ফিরে আসছে।
ভারতের আপত্তি কেন ধোপে টিকল না
দিল্লির আরও যে অভিযোগ ছিল, অর্থাৎ আইএমএফ আন্তদেশীয় সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া একটি দেশকে পুরস্কৃত করছে এবং এর মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে বিপজ্জনক বার্তা দিচ্ছে—বিষয়টি আরও জটিল ও সংবেদনশীল। সম্ভবত এই জটিলতার কারণে ভারত চাইলেও এই ঋণের কিস্তি থামাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যে এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থেকে বাস্তব ফল পাবে, তা হয়তো ভাবেনি, বরং এর লক্ষ্য ছিল কৌশলগত বার্তা দেওয়া। ভারতের পর্যবেক্ষণ, আইএমএফের কাঠামোগত ও প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতার কারণে তেমন কিছু করার অবস্থানে তারা ছিল না।
আইএমএফ পর্ষদের ২৫ সদস্যের একজন হলেও সেখানে ভারতের প্রভাব সীমিত। ভারত চার দেশের গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে এই পর্ষদে—তারা ছাড়া বাকি তিনটি দেশ হলো শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও ভুটান। অন্যদিকে পাকিস্তান মধ্য এশিয়া গোষ্ঠীর অংশ, যে গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে ইরান।
জাতিসংঘের ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির বিপরীতে আইএমএফের পর্ষদে ভোটাধিকার নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনীতির আকার ও অর্থনৈতিক অবদানের ভিত্তিতে। এ ব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার মুখে পড়ছে।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের হিস্যা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যেখানে ভারতের মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ। এ ছাড়া আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে সরাসরি ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। সদস্যরা কেবল পক্ষে ভোট দিতে পারেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। সিদ্ধান্তগুলো পর্ষদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে এক অর্থনীতিবিদের বক্তব্য, এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে। ২০২৩ সালে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকালীন এই বৈষম্য দূর করা ছিল আইএমএফ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থাগুলোর সংস্কারের অন্যতম মূল প্রস্তাব।
সেই প্রতিবেদনে ভারতের সাবেক আমলা এন কে সিংহ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অর্থমন্ত্রী লরেন্স সামার্সের প্রস্তাব ছিল এ রকম: আইএমএফে ভোটাধিকার যেন আর শুধু আর্থিক অবদানের ওপর নির্ভর না করে, সেখানে যেন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। যদিও এই সুপারিশ বাস্তবায়নে এখনো অগ্রগতি হয়নি।
এ ছাড়া যুদ্ধরত দেশগুলোকে অর্থসহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। ২০২৩ সালে ইউক্রেনকে দেওয়া ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলারের ঋণ ছিল যুদ্ধরত কোনো দেশকে দেওয়া আইএমএফের প্রথম সহায়তা।
দিল্লিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মিহির শর্মা বলেন, ‘আইএমএফ ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার জন্য নিজের নিয়মই শিথিল করেছে। একই যুক্তিতে পাকিস্তানের পূর্বনির্ধারিত ঋণ আটকে দেওয়া এখন আর সম্ভব নয়।
ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছে পাকিস্তান
হোসেইন হাক্কানি বলেন, ভারত যদি প্রকৃত অর্থেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে তুলে ধরতে চায়, তাহলে তা করার সঠিক মঞ্চ আইএমএফ নয়, বরং জাতিসংঘের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। এটি মূলত সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার রোধে কাজ করে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ‘ধূসর’ বা ‘কালো’ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তালিকাভুক্ত হলে সেই দেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেমন আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক থেকে অর্থসহায়তা পেতে বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে।
আইএমএফকে কূটনৈতিক চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা সম্ভব নয়, অতীতে তা হয়নি, এখনো হবে না,’ মন্তব্য করেন হাক্কানি। এফএটিএফ যদি কোনো দেশকে তালিকাভুক্ত করে, তবেই আইএমএফ ঋণ পেতে সমস্যার মুখে পড়ে, যেমনটা এক সময় পাকিস্তানের ক্ষেত্রে হয়েছিল।’ কিন্তু মনে রাখা দরকার, পাকিস্তান ২০২২ সালেই এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছে।
অন্যদিকে আইএমএফের অর্থায়নপ্রক্রিয়া ও ভোটাধিকার সংস্কারের যে দাবি ভারত তুলছে, তা নিয়েও সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, এমন পরিবর্তন হলে লাভবান হতে পারে চীন, ভারত নয়। মিহির শর্মা বলেন, এ ধরনের সংস্কার বাস্তবায়িত হলে দিল্লির চেয়ে বরং বেইজিংয়ের প্রভাব আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে হাক্কানিরও অভিমত, বহুপক্ষীয় ফোরামে দ্বিপক্ষীয় বিরোধ টেনে আনা ভারতের জন্য সব সময় সুফল বয়ে আনেনি। অতীতে এ ধরনের উদ্যোগে ভারতই উল্টো চীনের ভেটোর মুখে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ভারতের অরুণাচল প্রদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়ন চীন কীভাবে সীমান্ত বিরোধ দেখিয়ে আটকে দিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইএমএফ র এ ধরন র র অর থ আর থ ক দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করবে এনবিআর
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৫৫০ কোটি ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে সরকার একগুচ্ছ সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কর প্রশাসনে দুর্নীতি নিয়ে একটি জনমত জরিপ চালানো। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, সারে ভর্তুকি এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রণোদনা ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিকল্পনা রয়েছে, প্রতি অর্থবছর শেষে ছয় মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিসহ অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে।
গত সোমবার দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের পর সংস্থাটি ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে পরবর্তী কিস্তি পেতে শর্ত ও বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফ মোট ৩৩টি শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো– আগামী অর্থবছরে সরকারকে অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা কর রাজস্ব আহরণ করতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কাছে একটি চিঠি দেয়। এখানে বিনিময় হার নীতি, ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কার, রাজস্ব আহরণ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে; যা আইএমএফের প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক অর্থের ঘাটতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদে সংকোচনমূলক নীতি থাকবে। কাঠামোগত সংস্কার প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে। বিশেষ করে নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ ঘাটতি দূর করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতির স্মারকে (এমইএফপি) সরকারের বিভিন্ন অঙ্গীকার রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কর প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও সুশাসনের জন্য কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে কর প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে প্রতি দুই থেকে তিন বছরে একবার জরিপ চালানো হবে। কর্মকর্তাদের নৈতিকতা প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে এবং তারা প্রতিবছর আনুগত্যের ঘোষণা দেবেন।
এনবিআরের পরিকল্পনা রয়েছে, প্রতি অর্থবছরের শেষে ছয় মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিসহ অসদাচরণ, শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। এনবিআর আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মকর্তাদের জন্য একটি আচরণবিধি ও নৈতিকতা সনদ প্রকাশ করবে। এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব আহরণ ও নীতি গ্রহণে আলাদা বিভাগ করার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে। শিগগির এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ কার্যকর এবং একটি বিস্তারিত কর্মকৌশল প্রকাশ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে করছাড় কমিয়ে আনা শুরু হয়েছে। তাছাড়া আদর্শ ভ্যাটহার ১৫ শতাংশ বাস্তবায়নের আওতা বাড়িয়েছে। বেশ কিছু পণ্যে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মূল্য বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে কর আহরণ অটোমেশন এবং প্রশাসনের উন্নয়নসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসবে বলে সরকার মনে করছে।
ভর্তুকি কমানোর পরিকল্পনা
সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভর্তুকি কমিয়ে অগ্রাধিকার ব্যয়ে সুরক্ষা দেবে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে তা টেকসই পর্যায়ে আনার জন্য একটি বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। একটি কাঠামোগত বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি তিন বছরের রোডম্যাপ গৃহীত হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান ধাপে ধাপে কমানো হবে।
রপ্তানি ভর্তুকির ক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক, চামড়া ও পাট খাতে প্রণোদনা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। একই সঙ্গে ২০২৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে রেমিট্যান্স প্রণোদনা প্রত্যাহার করা হবে।