দেশের সব আইএসপির ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতে চায় আইএসপিএবি’র নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্যানেল ‘আইএসপি ইউনাইটেড’। বিভাগ ও জেলা সাব কমিটি গঠন, আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনীর আয়োজন ও বিশেষ সার্ভিস ডেস্ক চালুসহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়ছে প্যানেলটির নেতারা।

দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে মোট ২৬৩ ও সহযোগী সদস্যদের মধ্যে ৫৯৯ জন ভোটার রয়েছেন। ‘আইএসপি ইউনাইটেড’ সাধারণ সদস্য ক্যাটাগরি প্যানেল।

প্যানেলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আম্বার আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ হাকিম। সাধারণ সদস্য ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করা এই প্যানেলের মধ্যমণি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক। তিনি আইএসপিএবির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি। এছড়া ইউনাইটেড আইএসপি প্যানেলে রয়েছেন- বর্তমান কমিটি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁঞা। একইভাবে একসময়ে একাধিকবার আইসপিএবি’র কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলেন অপর প্রার্থী মঈন উদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি বর্তমান ইসি থেকে এই প্যানেলের প্রার্থী হয়েছেন আসাদুজ্জামান সুজন এবং মাহবুব আলম রাজু। টিম আইএসপি উইনাটেডের হয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন নেয়ামুল হক খান, মো.

মিঠু হাওলাদার এবং রাশেদুর রহমান রাজন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, আইএসপিএবির নির্বাচনে এবার ১৩টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ২৪ জন। সাধারণ সদস্য ক্যাটাগরিতে নয় পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সহযোগী সদস্যদের মধ্যে চার পদের বিপরীতে লড়বেন ১০ জন।

ঢাকা/হাসান

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি

সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।

ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।

নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।

আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিটিআরসির খসড়া নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে
  • সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি