ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে আজও (১৯ মে) তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলিস্তান মাজার এলাকা ও আশপাশের সড়ক বন্ধ করে তারা এই কর্মসূচি পালন করায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। 

বিক্ষোভকারীরা গুলিস্তান থেকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত এলাকা দখলে রেখে ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। নগর ভবনের সামনে ব্যানার ও মাইক নিয়ে চলে স্লোগান, সংগীত পরিবেশন এবং ছোট ছোট মিছিল।

‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাকপন্থীরা আজ টানা ষষ্ঠ দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করলেন। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার হস্তক্ষেপেই আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারছেন না ইশরাক হোসেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, নগর ভবনে অস্থায়ী দপ্তর থাকা উপদেষ্টা সেখানে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করলেও টানা আন্দোলনের কারণে সম্প্রতি তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যত দিন না ইশরাককে শপথ করানো হচ্ছে, তত দিন আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিরও তারা হুমকি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে শপথ আয়োজনের অনুরোধ জানায়। তবে এখনো পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানতে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। 

ঢাকা/এএএম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

ঢাকার সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আরিফুর রহমান সাদ্দাম নামে এক তেল ব্যবসায়ী। তার দাবি, একটি চক্র নিয়মিতভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন।

সাদ্দাম জানান, তার পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে সদরঘাটে তেলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা ঘাট ফেডারেশনের সভাপতি এবং একসময় তেল ব্যবসায়ী সমিতিরও সভাপতি ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান

কিছু দল হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছে: শামসুজ্জামান দুদু

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর যখন দেশজুড়ে সুশাসনের প্রত্যাশা তৈরি হয়। তখনই সদরঘাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে একটি চক্র।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সুমন ভূইয়া, জাকির ও গিয়াস নামে তিন ব্যক্তি নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা না দিলে হামলা চালান। আমার তেল ট্যাংকারে হামলা, কর্মচারীদের মারধর এবং বড় ভাইকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, আপনারা সত্য তুলে ধরুন। যেন আমরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারি।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন ভূঁইয়া অভিযোগগুলো নাকচ করে বলেন, “আমি এসব অভিযোগকে পাত্তাই দিচ্ছি না। যারা এসব বলছে, তারা চায় বিএনপির বদনাম হোক।”

তিনি আরো বলেন, “সদরঘাটে সেনাবাহিনী টহল দেয়। এখানে কারো চাঁদাবাজি করার ক্ষমতা নেই। আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন একজন মানুষ এবং এলাকার মানুষ জানে আমি কেমন। বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

নিজের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান সাদ্দাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যদি যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কিছু করার অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমরা কোকো কোম্পানি পরিচালনা করি, যেটি তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠানের আওতায় ছিল। এজন্য এক সময় আমাদের জঙ্গি হিসেবেও দেখা হত।”

তিনি দাবি করেন, “কিছু আওয়ামী লীগপন্থি ব্যক্তি ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে, যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমার ছোট ভাইকে র‌্যাব-ডিবি দিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ সে সাদ্দাম নয়, সাব্বির। আমি নিজে এলাকায় আসতে পারিনি, ভয় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।”

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি ২৮ তারিখে এই থানায় যোগদান করেছি। তাই অভিযোগটি সম্পর্কে আমি অবগত নই।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন