নুসরাতের সঙ্গে সংসার ভাঙার গুঞ্জন, নীরবতা ভাঙলেন যশ
Published: 21st, May 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে সংসার বেঁধেছেন। আজ সকাল থেকে গুঞ্জন উড়ছে, ভেঙে যাচ্ছে নুসরাত-যশের সংসার।
এ গুঞ্জনের সূচনা এই জুটির ইন্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে কেন্দ্র করে। কারণ তারা কেউ কাউকে আর অনুসরণ করছেন না। এরপর দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নেটিজনরা শুরু করেন চর্চা। অবশেষে সংসার ভাঙার ব্যাপারে নীরবতা ভাঙলেন যশ।
টিভি নাইনকে যশ দাশগুপ্ত বলেন, “সকাল থেকেই ভুল খবর ঘুরছে। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কিছু টেকনিক্যাল গ্লিচ রয়েছে। মার্ক জুকারবার্গকে জিজ্ঞাসা করেত হবে, কেন আমার অ্যাকাউন্ট থেকে নুসরাতের অ্যাকাউন্ট ফলো করা যাচ্ছে না। নিজে থেকেই আনফলো হয়ে যাচ্ছে! বিষয়টা আমাদের স্যোশাল মিডিয়া টিম দেখছে।”
আরো পড়ুন:
টিকিট না পাওয়ায় আমার পরিবারও ‘বরবাদ’ দেখতে পারেনি: শাকিব
ভারতীয় সিনেমায় অমির গান
স্ত্রী নুসরাত জাহানের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। তা জানিয়ে যশ বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায়র যে সমস্যা তার প্রমাণ আপনাকেই পাঠালাম। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যাই নেই।”
যশ দাশগুপ্ত এখন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “বহুদিন পর আমি বড় ছেলেকে নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে এসেছি। নুসরাত ওর পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়েছে।”
যশ-নুসরাত দুইজনেরই আগে আরেকটি সংসার ছিল। সাবেক স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই যশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নুসরাত। ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের মা হন তিনি। এরপর প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অ য ক উন ট
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।