সারাদিন সুস্থ থাকতে সকালে যে সাতটি কাজ করতে পারেন
Published: 21st, May 2025 GMT
সারাটা দিন ভালোভাবে কাটানোর জন্য সকালটা পরিকল্পিতভাবে শুরু করা প্রয়োজন। ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথম এক ঘণ্টায় আপনি যা যা করবেন তার প্রভাব আপনার শরীরে সবচেয়ে বেশি পড়বে। ভালো অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও ঠিক থাকবে।
শরীর ও মনকে একই সঙ্গে জাগিয়ে তুলুন: ঘুম থেকে জাগার পরেও কিছু সময় ঘুমের রেশ বা ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ থেকে যায়। ঘুমের মুড থেকে শরীর আর মনকে জাগানোর জন্য শরীর নাড়াচাড়া করা প্রয়োজন। এজন্য একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। ঘাড় ও হাত-পা ঘোরানোর মতো ছোট্ট কিছু কাজ করতে পারেন যা শরীরের জড়তা কাটাতে সহায়তা দেবে। শরীর সচল হলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়বে এরপরে ধীরে ধীরে পেশিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে। এরপরে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলেই স্নায়ুতন্ত্রগুলো জেগে উঠবে। মনে আনন্দ অনুভব করবেন। সকালে শরীরে সূর্যের আলো শরীরে লাগান। প্রাকৃতিক আলোর স্পর্শে মস্তিষ্ক জেনে যায় সকাল হয়েছে। এতে দ্রুত ঘুমভাব কেটে যায়।
এক চিমটি লবণ মিশিয়ে আধা লিটার পানি পান করুন: দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পরে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। এই অবস্থা থেকে শরীরকে দ্রুত সতেজ করার জন্য আধা লিটার পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। লবণের বদলে পানিতে সামান্য পরিমাণ মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন:
কম বয়সীদের ‘পপকর্ন ব্রেন সিনড্রোম’ বাড়ছে
তিতুমীর কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতাবিষয়ক কর্মসূচি
হালকা ব্যায়াম করুন: সকালের ৫-১০ মিটিনের ব্যায়াম আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে শরীরের আড়ষ্টতা কমে যায়, শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে- ফলে শরীর সহজে ক্লান্ত হয় না।
সময় নিয়ে সকালের নাস্তা গ্রহণ করুন: খুব তাড়াহুড়ো করে সকারের নাস্তা গ্রহণ করবেন না, একটু সময় নিয়ে ধীরে স্থিরে সকালের খাবার গ্রহণ করুন। অন্তত ২০ মিনিট সময় নিয়ে যাতে সকালের নাস্তা করতে পারেন-সেজন্য যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে ঘুম থেকে উঠুন।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল খান: সকালের খাবারে কোষের ক্ষতি রোধ করে এমন খাবার রাখার চেষ্টা করুন। যেমন—বাদাম, কিশমিশ, গাজর, আপেল, আঙুর ইত্যিাদি।
সূত্র: মিডিয়াম অবলম্বণে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’