যশোরে বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
Published: 21st, May 2025 GMT
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার যশোরে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে গ্র্যাজুয়েটিং অফিসারদের মধে৵ পদক ও ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ৮৬তম বাফা কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্সের একজন নারী কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র আন্ডার অফিসার মো.
কুচকাওয়াজ শেষে ফ্লাইপাস্ট, অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে ও প্যারা জাম্পিং প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান
রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।
২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।
পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
ঢাকা/হাসান/ইভা