বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার যশোরে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে গ্র্যাজুয়েটিং অফিসারদের মধে৵ পদক ও ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ৮৬তম বাফা কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্সের একজন নারী কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র আন্ডার অফিসার মো.

মুতাসিম বিল্লাহ। তিনি ‘সোর্ড অব অনার’ ও ‘কমান্ড্যান্টস ট্রফি’ লাভ করেন।

কুচকাওয়াজ শেষে ফ্লাইপাস্ট, অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে ও প্যারা জাম্পিং প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।

এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ