সুযোগ পেলে পর্দায় যৌনকর্মী হতেও রাজি: জিনাত
Published: 24th, May 2025 GMT
বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী জিনাত আমান। ৬০ থেকে ৭০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়িকাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। নায়িকা তো বটেই, খলনায়িকার চরিত্রেও দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় ছিলেন তিনি। যারা ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিটি দেখেছেন তারা জিনাত আমনের সাহসীকথার কথা জানেন।
অভিনয়ের খাতিরে চরিত্রের জন্য তিনি কতটা সাহসী হতে পারেন- তা প্রমাণিত। এ রকম আরও সাহসী পদক্ষেপের কথা সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারের শুরুর সময় শাম্মি কাপুরের প্রথম পরিচালিত ‘মনোরঞ্জন’ সিনেমায় অভিনয় করেচিলেন জিনাত। এতে জিনাতকে দেখা গেছে যৌনকর্মীর ভূমিকায়। সাধারণত ক্যারিয়ারের শুরুতে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হুট করে কেউ রাজি হন না। কারণ, অভিনয় সফল হলেও গায়ে ট্যাগ লেগে যায়। একই ধরনের চরিত্র তখন পরপর আসতে থাকে। জিনাত কিন্তু এ সবের পরোয়া করেননি।
জিনাত আমান বলেন, ‘অভিনয়ের সুযোগ পেলে পর্দায় যৌনকর্মী হতেও রাজি।’
‘মনোরঞ্জন’ ছবিতে কিছু যৌনকর্মীর জীবন দেখিয়েছিলেন শাম্মি। অভিনেত্রীর দাবি, ‘সাধারণত, পর্দায় যৌনকর্মী মানেই যেন অত্যাচারিত, অবদমিত। এক উদারচেতা পুরুষ এসে তাকে উদ্ধার করবে- সেই আশায় পথ চেয়ে বসে থাকে সে। শাম্মির ছবিতে আমাদের কিন্তু সেভাবে দেখানো হয়নি। আমরা নিজেদের জীবনে ভীষণই খুশি ছিলাম।’
একদম ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে চিন্তা করেননি তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে শাম্মি তাকে এই সুযোগ দেওয়ায় আজীবন তিনি কৃতজ্ঞ পরিচালক-অভিনেতার প্রতি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা জিনাত আমন ১৯৭০ সালে মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হন। একই বছরে মিস এশিয়া প্যাসিফিকে অংশ নিয়ে শিরোপা জয় করেন। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ন ত আম ন র চর ত র য নকর ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম