বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী জিনাত আমান। ৬০ থেকে ৭০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়িকাদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। নায়িকা তো বটেই, খলনায়িকার চরিত্রেও দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় ছিলেন তিনি। যারা ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিটি দেখেছেন তারা জিনাত আমনের সাহসীকথার কথা জানেন।

অভিনয়ের খাতিরে চরিত্রের জন্য তিনি কতটা সাহসী হতে পারেন- তা প্রমাণিত। এ রকম আরও সাহসী পদক্ষেপের কথা  সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী।

ক্যারিয়ারের শুরুর সময় শাম্মি কাপুরের প্রথম পরিচালিত ‘মনোরঞ্জন’ সিনেমায় অভিনয় করেচিলেন জিনাত। এতে জিনাতকে দেখা গেছে যৌনকর্মীর ভূমিকায়। সাধারণত ক্যারিয়ারের শুরুতে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হুট করে কেউ রাজি হন না। কারণ, অভিনয় সফল হলেও গায়ে ট্যাগ লেগে যায়। একই ধরনের চরিত্র তখন পরপর আসতে থাকে। জিনাত কিন্তু এ সবের পরোয়া করেননি।

জিনাত আমান বলেন, ‘অভিনয়ের সুযোগ পেলে পর্দায় যৌনকর্মী হতেও রাজি।’

‘মনোরঞ্জন’ ছবিতে কিছু যৌনকর্মীর জীবন দেখিয়েছিলেন শাম্মি। অভিনেত্রীর দাবি, ‘সাধারণত, পর্দায় যৌনকর্মী মানেই যেন অত্যাচারিত, অবদমিত। এক উদারচেতা পুরুষ এসে তাকে উদ্ধার করবে- সেই আশায় পথ চেয়ে বসে থাকে সে। শাম্মির ছবিতে আমাদের কিন্তু সেভাবে দেখানো হয়নি। আমরা নিজেদের জীবনে ভীষণই খুশি ছিলাম।’

একদম ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে চিন্তা করেননি তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে শাম্মি তাকে এই সুযোগ দেওয়ায় আজীবন তিনি কৃতজ্ঞ পরিচালক-অভিনেতার প্রতি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা জিনাত আমন ১৯৭০ সালে মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হন। একই বছরে মিস এশিয়া প্যাসিফিকে অংশ নিয়ে শিরোপা জয় করেন। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন ত আম ন জ ন ত আম র চর ত র য নকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

জরিপের ভুলে বিলীনের ঝুঁকিতে দেড় শ পাহাড়

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বড় দিঘির পাড় থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার সংযোগ সড়ক ধরে কিছু দূর এগোলেই ৩ নম্বর বাজার। হাটহাজারী উপজেলার এই বাজার পেরোতেই সড়কের পশ্চিম পাশে ৫০ থেকে ৬০ ফুট উচ্চতার একটি পাহাড়। পাহাড়ের পাদদেশে আধা পাকা কিছু বসতঘর। ফটক দিয়ে উঁকি দিতেই দেখা গেল বসতি সম্প্রসারণের জন্য কাটা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশ।

খালি চোখে বিশাল পাহাড় দেখা গেলেও ৩ নম্বর বাজার এলাকার এই পাহাড়কে বাংলাদেশ সার্ভে বা বিএস জরিপে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে ‘নাল’ জমি হিসেবে। স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা গেল, জঙ্গল দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজার বিএস ৩৫৭৩ নম্বর দাগে থাকা পাহাড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে ৭ একর। বিএস জরিপে ভুলবশত ব্যক্তিমালিকানাধীন এই পাহাড়টিকে নাল শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও নাল বলতে সাধারণত নিচু সমতল কৃষিজমিকে বোঝায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল পাহাড়টির পাদদেশে বেশ কিছু বসতি গড়ে উঠেছে। পাহাড়টির ওপর বড় কোনো গাছপালা নেই। তবে ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ। পাহাড়ের কিছু অংশে মাটি ধসে পড়ছে। ভূমি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ার পাহাড়ের অন্তত ১৬০ শতক টিলা শ্রেণির জমিকে ‘নাল’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে বিএস জরিপে।

চট্টগ্রাম নগর এবং এর পাশের দুই উপজেলা হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ডে দেড় শতাধিক পাহাড়-টিলাকে বিএস জরিপে ভুলভাবে শ্রেণিভুক্ত করার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব পাহাড়-টিলার জমির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৪০০ একর। তবে ১৯৭০ সালে জরিপ শুরুর সময় কত পরিমাণ জমির পাহাড়-টিলা এমন ভুলভাবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল এবং কাটা হয়েছিল, সে হিসাব পাওয়া যায়নি। কোথাও এসব পাহাড়-টিলার পুরোটাই, কোথাও আবার অংশবিশেষকে ‘শণখোলা’, ‘নাল’, ‘খিলা’, ‘বাড়ি’ ইত্যাদি শ্রেণিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি জরিপের এমন ভুলের সুযোগ নিয়ে চলছে পাহাড়-টিলা কেটে স্থাপনা নির্মাণ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্য অনুযায়ী, বিএস জরিপ শুরু হয় ১৯৭০ সালে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে (সংশোধিত) বলা হয়েছে, পাহাড় ও টিলা বলতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট পার্শ্ববর্তী সমতল ভূপৃষ্ঠ থেকে উঁচু মাটি অথবা মাটি ও পাথর অথবা পাথর অথবা মাটি ও কাঁকড় অথবা অন্য কোনো কঠিন পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত স্তূপ বা স্থান এবং সরকারি রেকর্ডপত্রে পাহাড় বা টিলা হিসেবে উল্লিখিত ভূমিকে বোঝায়।

ভূমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে শণ নামক উদ্ভিদ জন্মায়, সেটিকে শণখোলা বলা হয়। অকর্ষিত বা পতিত জমিকে বলা হয় খিলা।

পাহাড়টির ওপর বড় কোনো গাছপালা নেই। তবে ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ। পাহাড়ের কিছু অংশে মাটি ধসে পড়ছে। ভূমি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ার পাহাড়ের অন্তত ১৬০ শতক টিলা শ্রেণির জমিকে ‘নাল’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে বিএস জরিপে।শ্রেণীকরণের ভুলে যে ক্ষতিবিএস জরিপে ‘শণখোলা’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। গত সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম খুলশীর রূপসী পাহাড় এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জরিপের ভুলে বিলীনের ঝুঁকিতে দেড় শ পাহাড়