মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে আল-কায়েদার ৫ সদস্য নিহত
Published: 24th, May 2025 GMT
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আল-কায়েদার একজন স্থানীয় নেতা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার ইয়েমেনের একাধিক নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন। হামলায় আল-কায়েদার ৫ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।’ প্রদেশটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের অধীনে থাকা এডেন সীমান্তে অবস্থিত।
আরেকটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় খাবার আল-মারাকশার উত্তরে মার্কিন হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অঞ্চলটি পাহাড়ি এলাকা, যা আল-কায়েদার আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আল-কায়েদার একজন স্থানীয় নেতা ছিলেন।
আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখার নাম আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা। একসময় তাদেরকে আল-কায়েদার পুরো নেটওয়ার্কের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করত ওয়াশিংটন।
২০০৯ সালে ইয়েমেন ও সৌদি আরবের আল-কায়েদা শাখা একত্র হয়ে নতুন এই গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধের কারণে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে তারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ২০১৫ সাল থেকে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধ চলছে। ইয়েমেন সরকার এই যুদ্ধকে সমর্থন করছে।
চলতি মাসের শুরুতে হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক দশকের বেশি সময় ধরে তারা ইয়েমেনের বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। এই চুক্তির ফলে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ওপর কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা মার্কিন হামলা বন্ধ হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ক য় দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর কলেজ এলাকার বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি গত মে মাসের। ভিডিওতে থাকা যুবকেরা ‘রাসেল-ফয়সাল বাহিনী’ নামের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং শ্রীনগর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের নাম ফয়সাল, রাসেল, অর্পণ, আহির। তাঁদের সবার বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জনশূন্য একটি স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন চার যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজনের হাতে দুটি পিস্তল। একজনকে পিস্তল দেখিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘দামি কিন্তু এইডা, দুইডা দিয়া শট করমু।’ জবাবে অন্যজন বলেন, ‘দুইডা দিয়া শট করা যাইব না, একটা দিয়া শট করতে হইব। গুল্লি রেয়ার, পাওয়া যায় না।’ একজন বলেন, ‘লকটা খুলে টিপ দিলেই গুলি বের হইব।’ এ সময় পিস্তল হাতে নিয়ে আকাশের দিকে গুলি করার চেষ্টা করেন একজন। কীভাবে গুলি করতে হবে, পাশ থেকে বলছিলেন আরেক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা যুবকদের মধ্যে রাসেলের বাড়ি উপজেলার বাঘরা এলাকায়। ফয়সালের বাড়ি কামারখোলা। আর সাদা টি–শার্ট, কালো প্যান্ট ও টুপি পরা আহিরের বাড়ি শ্রীনগর ইউনিয়নের মথুরা পাড়ায় এবং অন্যজন একই এলাকার কালো পাঞ্জাবি পরা অর্পণ।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিওটি গত মে মাসের। এটি শ্রীনগর কলেজের পেছনের পুকুরপাড় এলাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীনগরের পরিবেশ এখন শান্ত। পরিবেশ ঘোলাটে করতে পাঁচ মাস আগের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাঁরা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। সবাই আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাসেলের দুটি চোখ প্রতিপক্ষের লোকজন উপড়ে ফেলেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।