টিভি নাটকের ব্যস্ত জুটি নিলয়-হিমি জুটি। তারা দু’জন শত শত নাটকে অভিনয় করেছেন। সেসব নাটক কোটি কোটি ভিউ হয়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সময়কে গুরুত্ব দিয়েই ট্রে-ি গল্পে যেমন তারা অভিনয় করেছেন তেমনি আবার জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের নাটকে অভিনয় করেও দু’জন তুমুল আলোচনায় এসেছেন।
আগামী ঈদেও তাদেরকে বেশ কিছু ট্রে-ি গল্পের নাটকে এবং জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের নাটকে অভিনয়ে দেখা যাবে। সেই ধারাবাহিকতায় এই জুটি এবার ‘কোটিপতি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এরইমধ্যে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। নাটকটি রচনা করেছেন জায়েদ জুলহাস। নির্মাণ করেছেন বর্ণনাথ।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে নিলয় আলমগীর বলেন,‘ এই নাটকের গল্প হচ্ছে একজন নি¤œবিত্ত মানুষ অভাবে থেকে একসময় অসৎ হয়ে যায়। দুর্নীতি করে এক সময় অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। সেইসাথে খুব অহংকারীও হয়ে যায়। অহংকারী হবার পর কীভাবে একটু একটু করে তার পতন হয়, তাই দেখানো হয়েছে এই নাটকে। বর্ণনাথের নির্দেশনায় এর আগেও আমি বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। তিনি গল্প প্রধান নাটক নির্মাণ করতে চান, যে নাটকে কোনো না কোনো ম্যাসেজ থাকে। সেটি কমেডি ঘরানার নাটকই হোক বা সিরিয়াস নাটকই হোক। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুউব ভালো।’
হিমি বলেন,‘ অন্যান্য পরিচালকদের চেয়ে বর্ণ দাদার কথা একটু আলাদা করে বলতেই হয়। তার নির্দেশনায় প্রথম কাজেই আমি যে বিষয়টা লক্ষ্য করেছি যে অ্যাক্টিভিটি করতে করতে সংলাপ বলা, এক্সপ্রেশন দেয়া-সেটা আসলে শুরুতেই পেয়েছি। তখনই মনে হয়েছে তিনি জেনে বুঝেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন এবং বেশ গুছানো, পরিপাটি একজন পরিচালক। অল্প চিন্তা ভাবনার মধ্যদিয়েই কাজ ঠিকঠাক মতো আদায় করে নেন তিনি।’
নিলয় আলমগীর জানান এরইমধ্যে মহিন খান, মোহসীন আকাশ, চয়নিকা চৌধুরী, এস আর মজুমদার, নাজমুল রনি, জাকিউল ইসলাম, রিপন’সহ আরো কয়েকজন পরিচালকের কাজ করার কথা রয়েছে। আসছে ঈদে ‘কোটিপতি’ নাটকটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে। এদিকে এরইমধ্যে গেলো সপ্তাহে ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে মেহেদী রনি পরিচালিত নিলয় হিমি অভিনীত ‘ভাই ভাই দ্বন্দ্ব’ নাটকটি। নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন শাহেদ শাহরিয়ার ও নাহার নওরীন। বিশেষত দুই ভাইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত এই নাটকটি দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র ন টক পর চ ল ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিশ্ব আর কোনো সম্রাট চায় না’, ট্রাম্পকে লুলার হুঁশিয়ারি
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’– মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা এমন অভিযোগ সোমবার নাকচ করেছেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ জোটের নেতারা। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা তাঁকে উদ্দেশ করে সাফ জানিয়ে দেন, বিশ্বের আর কোনো সম্রাটের প্রয়োজন নেই।
এর আগের দিন গত রোববার রাতে ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলোর ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তিনি বলেন, যারা ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ নীতি গ্রহণ করবে বলে মনে হবে, তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক বসানো হবে। এর পর গতকাল ১৪টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে লুলা বলেন, ‘বিশ্ব বদলে গেছে। আমরা আর কোনো সম্রাট চাই না।’ এই দেশগুলোর জোট একটি ভিন্ন অর্থনৈতিক কাঠামোর খোঁজ করছে। তাই হয়তো ব্রিকস এখন অনেকের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লুলা তাঁর অবস্থানে অনড় থেকে বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের বিকল্প খোঁজা এখন জরুরি। বিশ্বকে এমন একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে, যাতে বাণিজ্যিক লেনদেনের সব কিছু ডলারের মাধ্যমে না করতে হয়। এটা অবশ্যই দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত, অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া।
ট্রাম্পের হুমকির পর অন্যান্য ব্রিকস সদস্য রাষ্ট্রও নরমভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ব্রিকস কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায় না এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে বলে তিনি আশাবাদী।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, শুল্ককে চাপে রাখার বা বাধ্য করানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ব্রিকস ‘উভয় পক্ষের স্বার্থরক্ষামূলক’ সহযোগিতার পক্ষে এবং এ জোট কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়।
ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেন, ব্রিকসের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা একটি ‘অভিন্ন বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি’র ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং এটি কখনোই কোনো তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না।
ভারতের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ব্রিকস সদস্য ও সহযোগী অনেক দেশ তাদের বাণিজ্যের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
ব্রিকসের নতুন সদস্য ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিবিষয়ক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হারতার্তো ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও শুল্ক আলোচনা তদারক করতে গতকালই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সহযোগী হিসেবে ব্রিকসে অংশ নেওয়া দেশগুলো জানিয়েছে, তারা স্বাধীন অর্থনৈতিক নীতিতে বিশ্বাসী এবং কোনো আদর্শগত পক্ষপাতিত্বের সঙ্গে নেই। সৌদি আরব এখনও পুরোপুরি সদস্য না হলেও অংশীদার দেশ হিসেবে এতে অংশ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি দেশ ব্রিকসে সদস্য বা অংশীদার হিসেবে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।