দেশে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের' প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে তো দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। কারণ শেখ হাসিনার আমলের ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়ে গেছে। এই সরকার তো দুর্নীতি রোধে হাত দেননি! কয়জনকে ধরা হয়েছে? ধরার উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিচারও করেনি। এই মুহূর্তে দেশ ও বন্দর বাঁচানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে মানুষ বলাবলি করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, আমরা ৩১ দফা নিয়ে আন্দোলনে আছি। মাঝখানে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়। এরপর ছাত্ররাও আসেন। অর্থাৎ সংস্কার নিয়ে আমরা তো একমত আছি। বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো তো একমত। তাদের ডেকে পরামর্শ নিয়ে সংস্কারের পথ ত্বরান্বিত করেন।
তিনি বলেন, আজকে দেশ বাঁচাতে গিয়ে সবাই গণতন্ত্রের প্রশ্নে একমত। আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক। তিনি সফল মানে তো জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতা। আজকে ছাত্ররা দৈনিক সচিবালয়ে যায় কেন? ওসির টেবিলের সামনে বসে থাকে কেন? আমাদের অন্য কিছু মনে করবেন না। তবে আমরা লড়াই করা জাতি। গণতন্ত্র, জনগণের মৌলিক ভোটাধিকার নিশ্চিত হওয়ার আগে যেন ঈশ্বর আমার মৃত্যু না দেয়।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, আমজনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্দিরার ‘জরুরি অবস্থা’: ৫০ বছরে ভারত কী শিক্ষা পেল
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন। ওই দিন ভারত এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হলো। সেদিন সকালবেলা রেডিও-টেলিভিশনে শোনা গেল এক শীতল ঘোষণা: ‘দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।’ এরপর ২১ মাস ধরে দেশটিতে মৌলিক অধিকার স্থগিত ছিল। তখন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক ভিন্নমত নির্মমভাবে দমন করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেন নিশ্বাস বন্ধ করে ছিল। মনে হচ্ছিল ভারতের সংবিধানের মূল প্রতিশ্রুতি—স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব—সবই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ে গিয়েছিল। এরপর পঞ্চাশ বছর পার হয়েছে। এত বছর পরে এসেও সেই সময়টি ভারতবাসীর সামষ্টিক স্মৃতিতে ‘জরুরি অবস্থা’ নামে গেঁথে আছে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার সময় আমি ভারতে ছিলাম। অবশ্য ঘোষণার কিছুদিন পরেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর করার জন্য চলে যাই এবং বাকিটা সময় দূর থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকি।
জরুরি অবস্থার শুরুর মুহূর্তেই আমার মনে গভীর এক অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। ভারতের যে উন্মুক্ত ও প্রাণখোলা গণপরিসরে সব সময় প্রাণবন্ত বিতর্ক আর স্বাধীন মতপ্রকাশ চলে আসছিল, সেটি যেন হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। চিরচেনা কোলাহলের বদলে নেমে এসেছিল একধরনের ভয়ের নীরবতা।
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দাবি করেছিলেন, এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন; জরুরি অবস্থা ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ও বাইরের হুমকি সামলানো যাবে না। তিনি বলেছিলেন, জরুরি অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিশৃঙ্খল অবস্থাকে শৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
জরুরি অবস্থার সময়ে বিচারব্যবস্থাও প্রবল চাপে নতি স্বীকার করেছিল। এমনকি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত তখন হ্যাবিয়াস কর্পাস (যার মাধ্যমে একজন নাগরিক অন্যায়ভাবে আটক হলে আদালতে নিজের মুক্তির আবেদন করতে পারেন) এবং মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়েছিলেন।
সে সময় সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা—সবাইকে ধরে জেলে ভরে দেওয়া হয়। সংবিধানের এই ব্যাপক লঙ্ঘন মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ ইতিহাস তৈরি করে। জেল হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা সে সময়ে ততটা প্রকাশ না পেলেও যাঁরা সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের জন্য এটি ছিল এক নির্মম বাস্তবতা।
আসলে ‘শৃঙ্খলা’ আর ‘শান্তি-শৃঙ্খলার’ কথা বলে যা প্রচার করা হয়েছিল, তা অনেক সময়ই ভয়ংকর নিষ্ঠুরতায় রূপ নিয়েছিল। এর সবচেয়ে নির্মম উদাহরণ ছিল জোর করে পুরুষদের বন্ধ্যকরণ কর্মসূচি। ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। মূলত দরিদ্র ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ওপর ওই ‘অভিযান’ চালানো হয়। শুধু সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সে সময় মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে ভ্যাসেকটমি অপারেশন করা হতো।
অন্যদিকে শহরাঞ্চলেও ছিল দমন–পীড়ন। রাজধানী নয়াদিল্লির মতো জায়গায় নির্মমভাবে বস্তি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ এক রাতেই গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। এসব গরিব মানুষের কী হবে, কীভাবে তারা বাঁচবে—সেসব নিয়ে সরকার তখন একটুও চিন্তা করেনি।
এই ঘটনার ভয়াবহতাকে পরে অনেকেই ‘দুঃখজনক বাড়াবাড়ি’ বলে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ এও বলেন, জরুরি অবস্থার পরপরই সাময়িকভাবে একটা শৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, যা নাকি গণতন্ত্রের গোলমালপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে একধরনের বিরতি এনে দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো—এই সহিংসতা ও দমন-পীড়ন এসেছিল এমন এক ব্যবস্থার হাত ধরে যেখানে ক্ষমতার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং সেই ক্ষমতা একসময় নিপীড়ক স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার সময় যে শৃঙ্খলা এসেছে বলে বলা হয়েছিল, তার মূল্য ছিল অনেক বেশি। এর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রজাতন্ত্রের আত্মাকেই হারাতে হয়েছিল।
বিরোধী মত দমন, সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া, মতপ্রকাশ ও লেখার স্বাধীনতা বন্ধ করে দেওয়া এবং সংবিধানের নিয়মকানুনকে প্রকাশ্যেই অবজ্ঞা করার মতো কাজগুলো ভারতের রাজনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল।
যদিও বিচারব্যবস্থা পরে গিয়ে নিজ অবস্থান ঠিক করে নেয়, তবে শুরুতে তারা যেভাবে ভয় পেয়ে নতি স্বীকার করেছিল, তা সহজে ভুলে যাওয়ার নয়। ওই সময়ের এই কথিত ‘বাড়াবাড়ি’ বা ‘অতিরঞ্জন’ অসংখ্য মানুষের জীবনে গভীর ও স্থায়ী ক্ষতি করে যায়। অনেক পরিবার তাদের আপনজন হারায়। অনেকে অন্যায্য কারাদণ্ড বা নির্যাতন ভোগ করে।
এই দুঃসহ অভিজ্ঞতা অনেক মানুষের মধ্যে একধরনের আস্থা ও বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়। এর প্রকাশ আমরা দেখি ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে। তখন জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভোট হয় এবং মানুষ বিপুলভাবে ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর কংগ্রেস পার্টিকে পরাজিত করে।
আজ জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন শুধু ভারতে নয়, অনেক দেশেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতিমালাকে ঘিরে গভীর বিভক্তি ও সংকট চলছে। তাই ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো ও নিজেদের ভেতরটা পর্যালোচনা করার জন্য এই বার্ষিকী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। জরুরি অবস্থা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, এই ধরনের আদেশ জারিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে কতটা ভঙ্গুর হতে পারে।
একটি সরকার কত সহজেই নৈতিক দিশা হারাতে পারে এবং মানুষের কাছে তার দায়িত্ববোধ ভুলে যেতে পারে সেটি আমাদের এই ঘটনা আবার মনে করিয়ে দিয়েছে।
ওই জরুরি অবস্থা আমাদের দেখিয়েছিল, ব্যক্তির স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া কীভাবে ধীরে ধীরে ঘটানো হয়। তখনই আমরা সম্যকভাবে দেখেছিলাম, প্রথমে খুব সূক্ষ্মভাবে ‘জনস্বার্থ’ বা ‘উন্নয়ন’—ইত্যাদির নামে ছোট ছোট পরিসরে অধিকার খর্ব করা হয়। ‘পরিবার পরিকল্পনা’ আর ‘শহর উন্নয়ন’ এর মতো কথাগুলো একসময় জোরপূর্বক বন্ধ্যকরণ আর লোকদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ভয়ংকর কাজে কীভাবে ব্যবহৃত হয়, তা ওই ঘটনা আমাদের দেখিয়েছিল।
এই অভিজ্ঞতা থেকে শেখার মতো অনেক শিক্ষাই আছে। এসব শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক। প্রথমত, তথ্যের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন গণমাধ্যমকে দমন করা হয়, তখন সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের জবাবদিহি করানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়। তবে এটাও সত্য, অনেক সংবাদমাধ্যম যেভাবে ভয় বা চাপের মুখে মাথা নিচু করেছিল, তা কিছুতেই ক্ষমাযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্র টিকে থাকার জন্য একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা দরকার, যেটি নির্বাহী ক্ষমতার বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে। আদালতের আত্মসমর্পণ (যদি সেটি সাময়িকও হয়) এক ভয়াবহ ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
তৃতীয় যে শিক্ষাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আজকের রাজনৈতিক পরিবেশে, তা হলো—যখন একজন শাসক বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকে এবং নিজের সিদ্ধান্তকে সব সময় নির্ভুল মনে করে, তখন তিনি গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারেন। জরুরি অবস্থার সময় সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল এবং যখনই কেউ সরকারের বিরোধিতা করেছে তখনই তার গায়ে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছে।
আজকের ভারত ১৯৭৫ সালের ভারত নয়। এখন দেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনেক বেশি সমৃদ্ধ। অনেক দিক থেকে ভারত এখন অধিকতর শক্তিশালী গণতন্ত্র। তবু জরুরি অবস্থার শিক্ষা এখনো অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। কারণ, ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করার প্রলোভন, সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা, কিংবা সংবিধানের নিয়মনীতি এড়িয়ে চলার প্রবণতা—এসব এখনো বিভিন্ন রূপে সামনে আসে।
অনেক সময় এসবের আড়ালে থাকে ‘জাতীয় স্বার্থ’ বা ‘স্থিতিশীলতা’র মতো আকর্ষণীয় ভাষা। এই দিক থেকে জরুরি অবস্থা আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা। সেটি হলো—গণতন্ত্রে বিশ্বাসীরা কখনোই উদাসীন থাকতে পারে না।
ভারতে হোক কিংবা বিশ্বের অন্য কোথাও; আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাদের নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে: আমরা কি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধীরে ধীরে ক্ষয় বুঝতে পারছি? আমরা কি শক্তিশালী একনায়কতন্ত্রের আগমন ঠেকাতে পারব? আমরা সংবাদমাধ্যম, বিচারব্যবস্থা এবং নাগরিক সমাজকে রক্ষা করার জন্য যা করছি তা কি যথেষ্ট? এগুলো কি আমাদের স্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য?
জরুরি অবস্থাকে শুধু ভারতের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে মনে রাখলেই হবে না। বরং তার শিক্ষা আমাদের ভেতরে ধারণ করতে হবে। এটা যেন সব সময় আমাদের মনে করিয়ে দেয়—গণতন্ত্র কোনো স্থায়ী বা নিশ্চিত কিছু নয়। এটি আমাদের কাছে এমন এক অমূল্য উত্তরাধিকার, যাকে ভালোবাসা দিয়ে লালন করতে হয় আর বিপদের সময় সাহস নিয়ে রক্ষা করতে হয়।
শশী থারুর জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব এবং ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বর্তমানে ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির একজন সদস্য
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ