যাত্রী সেজে গাড়িতে উঠে চালক গৌড় বৈদ‍্যকে (৩৭) নির্জনে নিয়ে অজ্ঞান করে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা (সিএনজি) ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগরের পাহাড়ি নির্জন স্থান ২৪ নাম্বার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। গৌড় রাজনগর উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের নন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা।

গৌড় বৈদ্যের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে নেওয়া হয়।

রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত সহকারী কমিনিটি মেডিক্যাল কর্মকর্তা সুহেল রানা বলেন, “তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে।”

গৌড় বৈদ‍্যর স্বজন লিটন বৈদ‍্য জানান, গৌড় শুক্রবার রাতে অটোরিকশা (সিএনজি) নিয়ে জুড়ি বাজারে যাত্রী নিয়ে যায়। রাতে তিনি জুড়ি বাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তায় চার জন যাত্রীকে গাড়িতে তোলেন। রাজনগরের পাহাড়ি নির্জন ২৪ নম্বর এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীরা তার নাকে রুমাল পেঁচিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তাকে গাছে বেঁধে রেখে তার সিএনজি গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোবায়ের আহমদ চৌধুরী ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে জানান, মধ‍্য রাতে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুর্শেদুল হাসান খান বলেন, “এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।”

ঢাকা/আজিজ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জনগর

এছাড়াও পড়ুন:

হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা

হাওরের বুক চিরে চলে গেছে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই ধারে থৈ থৈ স্বচ্ছ পানি। তাতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ গোল পাতার ওপর নয়নাভিরাম সাদা শাপলা। 

প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে। তবে, হাওরে এখনো বর্ষার আমেজ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো পানিতে টইটুম্বুর হাওর। পথে যেতে যেতে দেখা মেলে শিল্পীর আঁকা ছবির মতো দৃশ্য। 

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে কাউয়াদিঘি হাওরে পানির কমতি নেই। পানির ওপরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা। স্বচ্ছ জলে ভাসছে হংস-মিথুন। এ যেন অপরূপ ছবির ক্যানভাস, রূপসী বাংলার শাশ্বত চিত্র।  

এমন দৃশ্য দেখে হয়ত কেউ মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে  গাইছেন, ‘যখন তোর ঐ গায়ের ধারে/ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে/ হংস-মিথুন ভেসে বেড়ায়/শাপলা ফোটা টলটলে ঐ পুকুরে’।  

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউয়াদিঘি হাওরের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, সাদা শাপলা সবার মন কাড়ে। দূর-দূরান্ত মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

সম্প্রতি হাওরপাড়ে দেখা হয় বেড়াতে আসা ফাহিম ও সুমন নামের দুই কিশোরের সঙ্গে। তারা বলে, অবসর পেলে একটু প্রশান্তির জন্য কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ে আসি। প্রকৃতির রূপ দেখে মন ভরে যায়। 

হাওর পাড়ের বাসিন্দা বেতাহুঞ্জা মৌজার গেদন মিয়া বলেন, এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় শরৎকালেও বর্ষার ভাব আছে। হাওরের পেট ভরে আছে বর্ষার জলে। এখনো সাদা শাপলা (স্থানীয় নাম ভেট বা হালুক ) ভালোভাবে ফোটেনি। ভালোভাবে ফুটলে আরো সুন্দর লাগবে। 

হাওরের ভুরভুরি বিলের ধারে গেলে দেখা হয় প্রকৃতিপ্রেমী আবু বকরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাদা শাপলা হাওরের শোভা বাড়িয়েছে। স্বচ্ছ জলের মাঝে হংস-মিথুন ভেসে বেড়াচ্ছে। এ যেন কোনো শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। সাদা শাপলার জৌলুস প্রকৃতিকে আরো মনোহর করে তোলে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অভিদপ্তরের রাজনগর উপজেলা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লা আল আমিন বলেন, শাপলা সপুষ্পক পরিবারের জলজ উদ্ভিদ। সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই ফুল আমাদের দেশের হাওর, বিল ও দিঘিতে বেশি ফোটে। 

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা