যাত্রী সেজে চালককে অজ্ঞান করে গাড়ি ছিনতাই
Published: 31st, May 2025 GMT
যাত্রী সেজে গাড়িতে উঠে চালক গৌড় বৈদ্যকে (৩৭) নির্জনে নিয়ে অজ্ঞান করে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা (সিএনজি) ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগরের পাহাড়ি নির্জন স্থান ২৪ নাম্বার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। গৌড় রাজনগর উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের নন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গৌড় বৈদ্যের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাড়িতে নেওয়া হয়।
রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত সহকারী কমিনিটি মেডিক্যাল কর্মকর্তা সুহেল রানা বলেন, “তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে।”
গৌড় বৈদ্যর স্বজন লিটন বৈদ্য জানান, গৌড় শুক্রবার রাতে অটোরিকশা (সিএনজি) নিয়ে জুড়ি বাজারে যাত্রী নিয়ে যায়। রাতে তিনি জুড়ি বাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তায় চার জন যাত্রীকে গাড়িতে তোলেন। রাজনগরের পাহাড়ি নির্জন ২৪ নম্বর এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীরা তার নাকে রুমাল পেঁচিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তাকে গাছে বেঁধে রেখে তার সিএনজি গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোবায়ের আহমদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মধ্য রাতে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুর্শেদুল হাসান খান বলেন, “এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।”
ঢাকা/আজিজ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১১ কোটি টাকার প্রকল্পে ধীরগতি, ২০ গ্রামে দুর্ভোগ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার-পতনঊষার সড়কের দুই কিলোমিটার অংশের কারণে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় অধিবাসী। খানা-খন্দে ভরা সড়কের এ অংশ সংস্কারে একটি প্রকল্প হাতে নিলেও তা যেন শেষ হতে চাইছে না।
টেংরাবাজার-পতনঊষার সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের জন্য ১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু হলেও এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এই সড়কের কারণে তিনটি উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার-কমলগঞ্জের পতনঊষার সড়ক প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ সড়কের একটি শাখা কুলাউড়ার টিলাগাঁও ও হাজীপুর ইউনিয়নের দিকে চলে গেছে। যার কারণে সড়কের এই অংশ চলাচলে অধিক ব্যবহার করেন রাজনগরের কামারচাক, কমলগঞ্জের পতনঊষার, কুলাউড়ার টিলাগাঁও ও হাজীপুর ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের বাসিন্দা। জেলা সদর ও সিলেট যাতায়াতে এ সড়কটি তাদের প্রধান মাধ্যম।
বিশেষ করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা বর্ষা-বাদলে চলাচলে মহাবিপাকে পড়ছেন। এদিকে ওই সড়কের তারাপাশা বাজার অংশে হাঁটুসম গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পথচারী চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। অথচ এলজিইডির নিয়ন্ত্রণাধীন এ সড়কের হরিপাশা থেকে তারাপাশা বাজার পর্যন্ত দুই কিলোমিটার জায়গা মেরামতে ঠিকাদার গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারাপাশা বাজারে আসা মশাজান গ্রামের আলকাছ মিয়া বলেন, এ রাস্তা দিয়ে শুধু রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন না। কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। এলাকার মানুষকে দুর্ভোগের কবল
থেকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি সড়কটি মেরামত জরুরি। একই গ্রামের জিলাল মিয়া জানান, অসুস্থ রোগী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার উপায় নেই।
এলজিইডি রাজনগর উপজেলা প্রকৌশলী রাজু সেন সমকালকে বলেন, ১১ কোটি টাকার প্রকল্পের কিছু অংশ অসম্পূর্ণ। ঠিকাদারকে কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই সড়ক সংস্কার প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুহিবুর রহমান জানান, তারাপাশা বাজারে জনস্বার্থে ১৪ ফুটের স্থলে ১৮ ফুট আরসিসি ঢালাই করা প্রয়োজন। বর্ধিত কাজের জন্য ফাইল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করা হবে।