ভারী বর্ষণে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা-বাগান এলাকায় সড়কের পাশের একটি টিলা থেকে গাছপালাসহ মাটি ধসে পড়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাজনগর ও কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে গাছ ও মাটি অপসারণ করেন। এ সড়ক দিয়ে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার লোকজন মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।  

স্থানীয় এবং কুলাউড়া ও  রাজনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাথিউরা চা-বাগান এলাকায় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের পশ্চিম পাশের একটি উঁচু টিলা থেকে গাছসহ বেশ কিছু মাটি ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে প্রথমে রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সড়কে পড়া গাছপালা কেটে অপসারণ করেন। এরপর মাটির স্তূপের পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু করে। পরে রাত ১০টার দিকে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়কের ওপর থেকে কিছু মাটি অপসারণ করেন।

রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, তাঁরা শুধু গাছপালা অপসারণ করেন। মাটি ধসে পড়ায় টিলাটি  ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মাটি অপসারণের ঝুঁকি নেননি।

কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম আহমদ বলেন, মাটির স্তূপের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে তাঁরা গিয়ে কিছু মাটি অপসারণ করেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত টিলায় আবারও ধস দেখা দিতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জনগর সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা

হাওরের বুক চিরে চলে গেছে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই ধারে থৈ থৈ স্বচ্ছ পানি। তাতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ গোল পাতার ওপর নয়নাভিরাম সাদা শাপলা। 

প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে। তবে, হাওরে এখনো বর্ষার আমেজ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো পানিতে টইটুম্বুর হাওর। পথে যেতে যেতে দেখা মেলে শিল্পীর আঁকা ছবির মতো দৃশ্য। 

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে কাউয়াদিঘি হাওরে পানির কমতি নেই। পানির ওপরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা। স্বচ্ছ জলে ভাসছে হংস-মিথুন। এ যেন অপরূপ ছবির ক্যানভাস, রূপসী বাংলার শাশ্বত চিত্র।  

এমন দৃশ্য দেখে হয়ত কেউ মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে  গাইছেন, ‘যখন তোর ঐ গায়ের ধারে/ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে/ হংস-মিথুন ভেসে বেড়ায়/শাপলা ফোটা টলটলে ঐ পুকুরে’।  

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউয়াদিঘি হাওরের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, সাদা শাপলা সবার মন কাড়ে। দূর-দূরান্ত মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

সম্প্রতি হাওরপাড়ে দেখা হয় বেড়াতে আসা ফাহিম ও সুমন নামের দুই কিশোরের সঙ্গে। তারা বলে, অবসর পেলে একটু প্রশান্তির জন্য কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ে আসি। প্রকৃতির রূপ দেখে মন ভরে যায়। 

হাওর পাড়ের বাসিন্দা বেতাহুঞ্জা মৌজার গেদন মিয়া বলেন, এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় শরৎকালেও বর্ষার ভাব আছে। হাওরের পেট ভরে আছে বর্ষার জলে। এখনো সাদা শাপলা (স্থানীয় নাম ভেট বা হালুক ) ভালোভাবে ফোটেনি। ভালোভাবে ফুটলে আরো সুন্দর লাগবে। 

হাওরের ভুরভুরি বিলের ধারে গেলে দেখা হয় প্রকৃতিপ্রেমী আবু বকরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাদা শাপলা হাওরের শোভা বাড়িয়েছে। স্বচ্ছ জলের মাঝে হংস-মিথুন ভেসে বেড়াচ্ছে। এ যেন কোনো শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। সাদা শাপলার জৌলুস প্রকৃতিকে আরো মনোহর করে তোলে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অভিদপ্তরের রাজনগর উপজেলা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লা আল আমিন বলেন, শাপলা সপুষ্পক পরিবারের জলজ উদ্ভিদ। সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই ফুল আমাদের দেশের হাওর, বিল ও দিঘিতে বেশি ফোটে। 

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা