ভারী বর্ষণে মৌলভীবাজার-বড়লেখা সড়কের ওপর ধসে পড়ল টিলা, যান চলাচলে ঝুঁকি
Published: 1st, June 2025 GMT
ভারী বর্ষণে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা-বাগান এলাকায় সড়কের পাশের একটি টিলা থেকে গাছপালাসহ মাটি ধসে পড়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাজনগর ও কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে গাছ ও মাটি অপসারণ করেন। এ সড়ক দিয়ে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার লোকজন মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।
স্থানীয় এবং কুলাউড়া ও রাজনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাথিউরা চা-বাগান এলাকায় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের পশ্চিম পাশের একটি উঁচু টিলা থেকে গাছসহ বেশ কিছু মাটি ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে প্রথমে রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সড়কে পড়া গাছপালা কেটে অপসারণ করেন। এরপর মাটির স্তূপের পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু করে। পরে রাত ১০টার দিকে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়কের ওপর থেকে কিছু মাটি অপসারণ করেন।
রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, তাঁরা শুধু গাছপালা অপসারণ করেন। মাটি ধসে পড়ায় টিলাটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় মাটি অপসারণের ঝুঁকি নেননি।
কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম আহমদ বলেন, মাটির স্তূপের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে তাঁরা গিয়ে কিছু মাটি অপসারণ করেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত টিলায় আবারও ধস দেখা দিতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে নোড়ার আঘাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় মসলা বাটার নোড়া (শিল) দিয়ে আঘাত করে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খোয়াজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।
নিহত গৃহবধূর নাম কুলসুমা বেগম (৪০)। তিনি খোয়াজনগর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। দুজনের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভোরে পারিবারিক নানা বিষয়ে কুলসুমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী আজিজুল কুলসুমাকে কয়েক দফা মারধর করেন। একপর্যায়ে মসলা বাটার একটি নোড়া দিয়ে কুলসুমার মাথায় আঘাত করা হয়। এ সময় কুলসুমা অচেতন হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাগ্বিতণ্ডা মধ্যে স্বামীর নোড়ার আঘাতে কুলসুমার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত কুলসুমার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।