প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) বলেছে, উৎপাদন খাতের বড় শিল্পের কাঁচামালের ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, করপোরেট কর ও ব্যক্তি খাতের করের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করা হয়েছে। করজাল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেই। বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো, ব্যবসাবান্ধব হওয়া এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও এসব লক্ষ্য অর্জিত হওয়া দুরূহ।
তিনি বলেন, উৎপাদন খাতের বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমানো হবে বোধগম্য নয়। সবকিছু আইএমএফের ফরমুলা অনুযায়ী করা হয়েছে। আইএমএফের ফরমুলা অনুযায়ী চললে শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। এমনিতে খরচ অনেক বেশি, জ্বালানির খরচ বেশি, ব্যাংক ঋণের সুদ অনেক বেশি এবং জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। এতসব সংকটের মধ্যেও যেসব শিল্প মোটামুটি প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে, সেখানেও শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়েছে। গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের নগদ প্রণোদনা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানি খাত প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে। নগদ প্রণোদনার পরিবর্তে কোনো রাজস্ব পদক্ষেপ বাজেটে নেই। কটন সুতা ও ম্যান মেইড ফাইবারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট প্রতি কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করা হয়েছে। এতে টেক্সটাইল শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে এবং সুতা আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে। স্টিল শিল্পের কাঁচামালের ওপর কর ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে ও সিমেন্ট শিল্পে কাঁচামালে মূসক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশের আবাসন ও নির্মাণশিল্প খাতে খরচ বেড়ে যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উৎপাদন খরচ বাড়বে
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) বলেছে, উৎপাদন খাতের বড় শিল্পের কাঁচামালের ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, করপোরেট কর ও ব্যক্তি খাতের করের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করা হয়েছে। করজাল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেই। বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো, ব্যবসাবান্ধব হওয়া এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও এসব লক্ষ্য অর্জিত হওয়া দুরূহ।
তিনি বলেন, উৎপাদন খাতের বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমানো হবে বোধগম্য নয়। সবকিছু আইএমএফের ফরমুলা অনুযায়ী করা হয়েছে। আইএমএফের ফরমুলা অনুযায়ী চললে শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। এমনিতে খরচ অনেক বেশি, জ্বালানির খরচ বেশি, ব্যাংক ঋণের সুদ অনেক বেশি এবং জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। এতসব সংকটের মধ্যেও যেসব শিল্প মোটামুটি প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে, সেখানেও শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়েছে। গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের নগদ প্রণোদনা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানি খাত প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে। নগদ প্রণোদনার পরিবর্তে কোনো রাজস্ব পদক্ষেপ বাজেটে নেই। কটন সুতা ও ম্যান মেইড ফাইবারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট প্রতি কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করা হয়েছে। এতে টেক্সটাইল শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে এবং সুতা আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে। স্টিল শিল্পের কাঁচামালের ওপর কর ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে ও সিমেন্ট শিল্পে কাঁচামালে মূসক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশের আবাসন ও নির্মাণশিল্প খাতে খরচ বেড়ে যাবে।