আমিরাতে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
Published: 4th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে শারজাহর একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খতমে কোরআর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রবিবার (১ জুন) শারজার একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দুবাই বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ইউএ ই বিএনপির সদস্য এস এম মোদাচ্ছের শাহর সঞ্চালনায় অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকৌশলী মাহে আলম, সামছুন নাহার স্বপ্না, প্রকৌশলী করিমুল হক, আজমান বিএনপির সভাপতি শাহীন, বাবু নীল রতন দাস, শাহদাত হোসেন সুমন, এইচ এম এরশাদ,আবুল বশর,মজিবুল হক মঞ্জু, বিএনপি নেতা সি,আই,পি, জাহাঙ্গীর আলম,শেখ সেলিম সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আরো পড়ুন:
রাজনীতিকদের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল
আ.
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি
আলোচনা সভায় বক্তারা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, দেশপ্রেম এবং জাতি গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার এবং সফল রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।
বক্তারা আরো বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কৃষকদের জন্য আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রবর্তন, খাল খনন কর্মসূচী, গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করেছিলেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই চালু হয়েছে।
বিএনপি সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার নেতারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও কথা বলেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরো যারা বক্তব্য রাখেন ফজলুর রহমান পাপ্পু খান, আমিনুল ইসলাম টিপু, তরিকুল ইসলাম, জাকারিয়া রাশেদ, শাহ আলম, ইসমাইল হোসেন, এরশাদ কন্ট্রাক্টর, রুবেল চৌধুরী, রেজাউল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দোয়া মাহফিলের পর তবারক বিতরণ করা হয়।
এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি প্রবাসে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র জন ত ক ল ইসল ম ব এনপ র আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে অবরোধের হুঁশিয়ারি আপ বাংলাদেশের
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের দাবি’ শীর্ষক গণজমায়েতে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আপ বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারি না হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আহতদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা দেখেছি, যারা জুলাইয়ের নেতৃত্বে ছিল, জুলাইয়ের পরে তাদের পকেট ভারী হয়েছে। আমি বলতে চাই, আপনাদের এই পকেটের হিসাব দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আলী আহসান বলেন, ‘আপনারা জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কি পারবেন না, তা জানান; না পারলে আমরা আছি। যারা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, বাংলাদেশের (সেই) ২০ কোটি জনগণ জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করবে।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না হয়, তাহলে ৬ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে অবরোধ শুরু হবে। এ সরকারের কোনো হুমকি আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গণজমায়েতে অংশ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বলেন, আপ বাংলাদেশের নেতারা এখনো কোনো প্রটোকল ছাড়া রাস্তাঘাটে হাঁটেন। কিন্তু তাঁরা যেদিন প্রটোকল নিতে শুরু করবেন, সেদিন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলা শুরু করবেন।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়ে শরীফ ওসমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় জুলাই শহীদেরা রাষ্ট্রদ্রোহী। তাঁদেরকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে সরকার দিনক্ষণ না জানালে আগামী ৩ তারিখ (আগস্ট) ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে কফিন মিছিল নিয়ে সচিবালয় অবরোধ করা হবে।
বিগত এক বছর থেকে একটি দুর্বল সরকার দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঘোষণাপত্রের জন্য আমাদের আবারও গণজমায়েত করতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা যে মৌলিক সংস্কার চেয়েছিলাম, এখনো তার কিছুই হয়নি। এখনো শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। আমি উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলতে চাই, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া–পাওয়া খুব বেশি নেই।’
গণজমায়েতে র্যাপ গান পরিবেশন করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আহনাফ তাহমিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান। গণজমায়েতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ, মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা প্রমুখ।