শেখ হাসিনাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে আরও দুই হত্যা মামলা
Published: 5th, June 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় গণহত্যায় জড়িত থাকা ও প্ররোচনার অভিযোগে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। একই থানায় আগে আরও পাঁচটি মামলা হয়েছিল। এ ছাড়া চাঁদপুরে দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুরের সফিপুর আনসার একাডেমির ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। এতে নেত্রকোনার রোস্তম মিয়া (৪৬) ও বগুড়ার মো.
আপেল মাহমুদের মামলায় আসামিরা হলেন– সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ নেতা আকবর আলীসহ ৩৪ জন। শেফালী বেগমের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোজাম্মেল হককে। অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন সিকদারসহ ৩১৬ জন। অপরদিকে চাঁদপুরে দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন– আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী, আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, দীপু মনির বড় ভাই ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু ও সাবেক পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জন র ব র দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ