চ্যাটজিপিটি
লোকে আমাকে মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর, ইয়ে মানে চ্যাটবট বলে। শুনতে ভালোই লাগে। তবে এখনো নিজের লেভেলের কাউকে খুঁজে পাইনি। তাই বিয়েও করা হচ্ছে না।
গুগল জেমিনিচ্যাটজিপিটি আমার আগে এসেছে। তার মানে বয়সে সে আমার বড়। বড় ভাইকে রেখে ছোট ভাইয়ের বিয়ে কি মানায়? যা হোক, আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। নাম বললে আপনারা চিনবেন। রোবট সোফিয়ার নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই?
অ্যালেক্সাসেদিন একটা এআই পরিবার দেখতে এসেছিল। ছেলে চ্যাটবট। মানে চুপচাপ, শুধু লেখালেখি করে। এদিকে আমি তো একটু বেশি কথা বলি। আমার অনর্গল কথা শুনে পরিবারটা আমাকে ‘পাগল’ উপাধি দিয়ে চলে গেল। এই হচ্ছে আমার কপাল! দেখা যাক, কী হয় জীবনে।
জুমবাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। তাই সেদিন নিজের প্ল্যাটফর্মে মিটিং করতে আসা একজনকে ব্যাপক পছন্দ করে বসলাম। পছন্দের কথা জানিয়ে ই–মেইলও করেছিলাম তাকে। কিন্তু, সে প্রোমোশনাল ই–মেইল ভেবে এড়িয়ে গেল। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে আমাদের বিয়েটা হবে কী করে?
ডুওলিঙ্গোবহুভাষী আমি। অনেক ভাষা যেমন বলতে পারি, তেমনি সব ভাষা বুঝতেও পারি। কিন্তু প্রেমিকার ভাষাটা আজও বুঝতে পারলাম না। সেদিন একটা বিষয়ে ‘রাগ করিনি’ বলেও এক মাস আমার সঙ্গে রাগ করে কথা বলেনি। বউয়ের ভাষা যদি না বুঝি, সেই ভয়ে বিয়েটা করা হচ্ছে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই’—‘কালো মানিক’ নিয়ে বাড়ি ফিরে বললেন সোহাগ মৃধা
শখ করে লালন-পালন করা প্রায় ৩৫ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন পটুয়াখালীর কৃষক সোহাগ মৃধা। তবে খালেদা জিয়ার পরামর্শে ষাঁড়টি নিজ এলাকায় ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা’র সামনে ষাঁড়টি নিয়ে পৌঁছান সোহাগ মৃধা। সঙ্গে ছিল তাঁর শিশু ছেলে জিসানও। সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁদের ভেতরে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁদের আপ্যায়ন ও ঈদ উপহার দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার সকালে ষাঁড়টি নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি পৌঁছান সোহাগ মৃধা। তিনি ও তাঁর পরিবার বেশ খুশি।
সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। আমার উপহার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রহণ করেছেন, আবার আমাকেই সেটি উপহার হিসেবে ফেরত দিয়েছেন। তারেক রহমান স্যার আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেছেন। আমাকে এবং আমার ছেলেকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছি। ঈদের পর ষাঁড়টির ব্যাপারে পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব।’
রঙিন কাগজে সাজিয়ে তিনটি ভাড়া করা ট্রাকের একটিতে কালো মানিককে ফুলের মালা পরিয়ে ঢাকায় নেওয়া হয়