বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমবে: বিশ্বব্যাংক
Published: 10th, June 2025 GMT
২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, এ বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপ্রেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ ও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রায় সব অর্থনীতির জন্যই একটি বড় ‘প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে তাদের মাত্র ছয় মাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপ এবং উদীয়মান ছয়টি অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে।
সংস্থাটির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একের পর এক শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্কহার ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দুই অঙ্কে উঠেছে, যা গত প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। চীনসহ অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা জবাব দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ট্রাম্পের অনিয়মিত বাণিজ্যনীতির কারণে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, শুল্ক বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং এখনো অনুমোদন না পাওয়া করছাড় নীতির মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
বিশ্বব্যাংক সরাসরি মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও জানিয়েছে, চলতি ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে এমন এক দুর্বল অবস্থায় নামবে, যা ২০০৮ সালের পর মন্দা ব্যতিরেকে সবচেয়ে দুর্বল। আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ১৯৬০-এর দশকের থেকে কোনো একক দশকে সবচেয়ে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব য
এছাড়াও পড়ুন:
সর্বোচ্চ ১ হাজার শব্দে মতামত দেওয়া যাবে
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ২ জুন সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয় তাঁর বাজেট বক্তব্য।
বাজেট বক্তব্যসহ অন্যান্য দলিল অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রস্তাবিত এ বাজেটের ওপর মতামত দিতে পারবেন যে কেউ। মতামত নেওয়ার পর বাজেট চূড়ান্ত করবে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে (https://mof.portal.gov.bd) প্রবেশ করলেই ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এর ওপর মতামত’ লিংক পাওয়া যাবে। লিংকে প্রবেশ করে মতামতদাতার নাম, ই-মেইল, মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের যে কোনো বিষয়ের ওপর এক হাজার শব্দের মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এভাবে মতামত নেবে অর্থ বিভাগ। মতামত নেওয়ার পর কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেও অন্য কোনো অংশীজনের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবে না।
আগামী ২২ জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে হবে বাজেট। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর করা হবে।
নির্বাচিত সরকারের আমলে বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাসজুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হতো সংসদে। জুন মাসের শেষ দিকে সংসদে পাস হতো নতুন অর্থবছরের বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। তাই বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।