২৪২ যাত্রী নিয়ে ভারতে লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্ত, বহু মৃত্যুর আশঙ্ক
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনের পথে উড্ডয়ন করতে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিমানবন্দর ছাড়ার পরপরই বিধ্বস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে অন্তত ২৪২ যাত্রী ছিলেন। এই ঘটনায় বিমানের বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই আহমেদাবাদের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি লোকালয়ে ভেঙে পড়ায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নিতে জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকেও তৎপর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১২১
এক সিনেমায় কত পারিশ্রমিক পান নয়নতারা?
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেশাগ্রস্ত তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আর আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’ ইমাম এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান। আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে অভিযুক্তরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়াসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এসময় হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া নামে দুই মুসল্লি বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং এ নিয়ে থানায় একটি লখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ