লন্ডনে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন নববধূ খুশবু, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে ছিলেন তিনিও
Published: 13th, June 2025 GMT
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটির নিহতের তালিকায় রয়েছে খুশবুর নাম। ভারতীয় নাগরিক এ নারীর পুরো নাম খুশবু রাজপুরোহিত। রাজস্থানের নববিবাহিত খুশবু লন্ডনে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন।
খুশবুর বাড়ি রাজস্থান রাজ্যের বালোতারা জেলার আরাবা গ্রামে। গত জানুয়ারিতে মানফুল সিংয়ের সঙ্গে খুশবুর বিয়ে হয়। মানফুল লন্ডনের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন। বিয়ের পর এবার প্রথমবারের মতো স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যাচ্ছিলেন খুশবু। কিন্তু তা আর হলো না।
আরও পড়ুনবিধ্বস্ত উড়োজাহাজের এক যাত্রী বেঁচে গেছেন, হাসপাতালে ভর্তি৭ ঘণ্টা আগেবিধ্বস্ত হওয়া ওই উড়োজাহাজে খুশবুসহ রাজস্থানের ১১ আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন শেফের চাকরিতে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য যাচ্ছিলেন। উড়োজাহাজটিতে রাজস্থানের একজন মার্বেল ব্যবসায়ীর ছেলে–মেয়েও ছিলেন।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর কাছের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
আরও পড়ুনবিশ্বের ইতিহাসে ভয়াবহ ১০ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা৮ ঘণ্টা আগেইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই উড়োজাহাজের ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। যদিও পরে একজন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানা যায়।
উড়োজাহাজটির পাইলট ও ক্রু ছাড়া মোট ২৩০ যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত কী কারণে, বিশেষজ্ঞরা যা ভাবছেন৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ধ বস ত
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ