২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ নেতাদের
Published: 17th, June 2025 GMT
হল বরাদ্দ বাতিলের অজুহাতে ২৮ জুন জাতীয় পার্টির কাউন্সিল স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তারা দলীয় গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত মেনে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই কাউন্সিল আয়োজন করতে চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জাপা চেয়ারম্যানের শোক
প্রস্তাবিত বাজেট নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন: জিএম কাদের
তারা বলেন, “জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই আগামী ২৮ জুন নির্ধারিত দলের দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করেছেন। এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত।”
“আমরা মনে করি, ২৮ জুনের জাতীয় সম্মেলন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী বৈধতা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম।এই সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে গণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা দলীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ,” বলেও মনে করেন তারা।
দুই নেতা বলেন, “গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলন স্থল না পাওয়া গেলে বিকল্পভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (৬৬ পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল, রমনা, ঢাকা-১০০০।) সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে।”
“এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
নেতারা আরো বলেন, “আমরা আশা করি, পার্টির চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ২৮ জুন বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন নিশ্চিত করবেন।”
জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে তারা বলেন, “গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাই হোক আমাদের এগিয়ে চলার প্রধান শক্তি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র গঠনতন ত র ব কল প ২৮ জ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব