ইরানের ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা কি ধ্বংস করা সত্যিই অসম্ভব, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Published: 18th, June 2025 GMT
পাহাড় কেটে ঢুকে পড়েছে পাঁচটি সুড়ঙ্গ, পাশে দাঁড়িয়ে বিশাল এক কাঠামো, আর চারপাশে সুপ্রসারিত নিরাপত্তাপ্রাচীর—ইরানের ফরদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবিতে এমনই দেখা গেছে।
ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এ গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর আসল প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার শুরু হয়।
স্থাপনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যত তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই মিলেছে কয়েক বছর আগে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের চুরি করে আনা ইরানের গোপন নথি থেকে।
এর মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইসরায়েলের যেকোনো বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ফরদোতে ইরান তাড়াহুড়া করে মজুদকৃত ইউরেনিয়াম থেকে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করতে পারে।
ইসরায়েল এ কেন্দ্র লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মতে, তারা এখন পর্যন্ত এ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি, নয়তো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
তেহরান বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে, শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও ফরদো নিয়ে ইরানের প্রকৃত অভিপ্রায় সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন রয়েছে।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক যৌথ ঘোষণায় প্রথমবারের মতো ফরদোর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, ‘এই কেন্দ্রের আকার ও গঠন এটির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে মেলে না।’
ফরদো পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রের সামনে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিব আবাদি (ডানে) এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), ১৫ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।
কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা