যে দেশের সব সমুদ্রসৈকত ঘুরে দেখতে আপনার লাগবে ২৮ বছরের বেশি
Published: 8th, July 2025 GMT
ছবি: পেক্সেলস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে পানিবন্দী হাজারো মানুষ
টানা বৃষ্টিতে নাকাল উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে জেলা শহর মাইজদীর বেশির ভাগ সড়ক। ঘরবাড়ি ও দোকানপাটেও ঢুকেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল ও কলেজে পরীক্ষা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে গতকাল সোমবার বেলা তিনটা থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
আজ বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে নোয়াখালীর শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, জেলার মাইজদীর কেন্দ্রীয় সড়ক, হাকিম কোয়ার্টার সড়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক, শিল্পকলা একাডেমি, জেলা জজ আদালত সড়ক, নোয়াখালী সরকারি কলেজ সড়ক এবং মাইজদী স্টেশন রোড—প্রায় সব সড়কেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও এর চেয়েও বেশি। এসব এলাকায় নালার পানি সরছে ধীরগতিতে। ফলে বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নতুন নয়। প্রতিবছরই এমনটা হচ্ছে। এর মূল কারণ অপরিকল্পিত ও সরু ড্রেন। আবার এসব ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কারও করা হচ্ছে না। এর ফলে আবাসিক এলাকাসহ দোকানপাট এ বিপণিতেও পানি ঢুকছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই শহরে কেউ নাগরিক সুবিধা নিয়ে ভাবে না। ড্রেনগুলো সরু, অপরিকল্পিত ও আবর্জনায় ভরা। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানি উঠে।’
ফ্ল্যাট রোড এলাকার দোকানি মো. রিপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে সরকারি আবাসিক এলাকার লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তায় পানি জমে থাকায় এখন কেউ দোকানে আসতে চায় না। সড়কের চেয়ে উঁচুতে ড্রেন করা হয়েছে, ফলে পানি সরে না।’
জানতে চাইলে নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডি-এলজিইডি) জালাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি। সব জায়গাই কমবেশি জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ড্রেনগুলোয় ময়লা ফেলা। পরিস্থিতি উন্নয়নে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ড্রেনগুলোর ময়লা পরিষ্কার করছেন। বৃষ্টি কমলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।