প্রথম আলো :

এখন তো বর্ষা মৌসুম, স্টেজ শো কম

সালমা: আমাদের শিল্পীদের জন্য এই সময়টা অবসরের। আমরা ভ্যাকেশন মুডে থাকি। তারপরও মাসে দুইটা করে স্টেজ শো করছি। এই সময়ে দুইটা স্টেজ প্রোগ্রাম করব, ভাবতেই পারি না।

প্রথম আলো :

রেকর্ডিং বা স্টেজ শো না থাকলে অবসর কীভাবে কাটে?

সালমা: আমার কোনো অবসর নাই। কাজ না থাকলেও পরিবারে সময় দিতে হয়। ভ্যাকেশন মুডে থাকতে পারি না। বাচ্চার পড়াশোনা দেখভাল করি। কাজ, সংসার, স্বামীকে নিয়েই সময় কেটে যায়।

প্রথম আলো :

রান্না নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শুনতে চাই.

..

সালমা: রান্না করতে আমি খুবই পছন্দ করি। দিনে তিনবার স্বামীকে রান্না করে খাওয়াই। এটা আমার ভালো লাগে। কখনো এমনও হয় রান্নাঘরেই কাটে বেশি সময়। প্রায়ই সবার পছন্দের খাবার তৈরি করতে হয়। এখন তো বৃষ্টির সময়। প্রায়ই খিচুড়ি রান্না করতে হয়। সংসারে সময় দেওয়াতেই আমি আনন্দ পাই। নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দিই বলে অনেকেই মনে করে আমি ফেসবুকেই থাকি। আমি শুধু ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতেই আসি। পোস্ট দেওয়া শেষ হলেই ফেসবুক বন্ধ করে দিই। একটু সময় পেলেই রান্নায় বসে যাই, ইবাদত করি।

গায়িকা সালমা। ছবি: ফেসবুক থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

অবসর কাটাতে ছেলের সঙ্গে কানাডায় ববিতা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। রুপালি পর্দায় দীর্ঘসময় রাজত্ব করা এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী এবার পাড়ি জমালেন কানাডা। উদ্দেশ্য, অবসরের সময়টুকু প্রিয়জনের সান্নিধ্যে থেকে কিছুটা প্রশান্তি ও আনন্দ নিয়ে কাটানো। জানা গেছে, আজ ছয় মাসের জন্য কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন ববিতা। সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন তাঁর একমাত্র পুত্র অনিক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করছেন।

ছোটবেলা থেকেই কানাডায় বেড়ে ওঠা অনিক বর্তমানে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং সেখানে শিক্ষকতা করছেন। সম্প্রতি মা ববিতাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসেন অনিক। এবার মা-পুত্র একসঙ্গে ফিরে যাচ্ছেন কানাডায়।

এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘অনেক দিন হলো এক জায়গায় থিতু হয়ে থেকেছি। এবার মনে হলো একটু নিজের মতো করে সময় কাটাই। ছেলের সঙ্গে কানাডায় থাকব, মাঝে মাঝে ওর কাজের ফাঁকে ঘুরে বেড়াব। পাশাপাশি আমেরিকায় প্রবাসী আমার ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করব। অনেকদিন হলো তাদের সান্নিধ্য পাই না।’ তবে শুধু ঘুরে বেড়ানোই নয়, দায়িত্বের অংশ হিসেবে ববিতা এবার যুক্তরাষ্ট্রেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেবেন।

তিনি জানান, ‘আমি ডিসিআইআই এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এবারও কিছু সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে ডিসিআইআই-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ববিতা। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও নারীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ববিতাও একজন সেলিব্রেটি অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণা, ফান্ড রেইজিং ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।

১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ববিতার। এরপর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী সিনেমা—অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, নতুন সুর, তিতাস একটি নদীর নাম, শঙ্খনীল কারাগার, রামের সুমতি, অমানুষ, অলাতচক্রসহ অসংখ্য ছবি।

ববিতার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’। এই চলচ্চিত্রে ২০১৫ সালে অভিনয়ের পর থেকে ববিতা আর নতুন কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিনয় থেকে। এখন সময়টা কাটাচ্ছেন নিজের মতো করে—পরিবার, সমাজসেবা আর স্মৃতিময়তার আবহে।

চিরসবুজ এই তারকার কাছে অভিনয় নয়, এখন পরিবারের কাছে থাকাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য। কানাডার প্রকৃতির মাঝে, সন্তানের পাশে থেকে তিনি খুঁজে নিতে চান জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনবিআর আন্দোলন: ক্ষমা চাইলেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা
  • এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
  • অবসরের পর আবার নতুন সূচনা: বার্সায় আরও দুই বছর থাকছেন সেজনি
  • অবসর কাটাতে ছেলের সঙ্গে কানাডায় ববিতা
  • যারা বড় আকারে সীমা লঙ্ঘন করেছে, তা ভিন্নভাবে দেখা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • যে ৭টি কারণে ধোনিকে আপনার মনে রাখতেই হবে