প্রথম আলো :

এখন তো বর্ষা মৌসুম, স্টেজ শো কম

সালমা: আমাদের শিল্পীদের জন্য এই সময়টা অবসরের। আমরা ভ্যাকেশন মুডে থাকি। তারপরও মাসে দুইটা করে স্টেজ শো করছি। এই সময়ে দুইটা স্টেজ প্রোগ্রাম করব, ভাবতেই পারি না।

প্রথম আলো :

রেকর্ডিং বা স্টেজ শো না থাকলে অবসর কীভাবে কাটে?

সালমা: আমার কোনো অবসর নাই। কাজ না থাকলেও পরিবারে সময় দিতে হয়। ভ্যাকেশন মুডে থাকতে পারি না। বাচ্চার পড়াশোনা দেখভাল করি। কাজ, সংসার, স্বামীকে নিয়েই সময় কেটে যায়।

প্রথম আলো :

রান্না নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শুনতে চাই.

..

সালমা: রান্না করতে আমি খুবই পছন্দ করি। দিনে তিনবার স্বামীকে রান্না করে খাওয়াই। এটা আমার ভালো লাগে। কখনো এমনও হয় রান্নাঘরেই কাটে বেশি সময়। প্রায়ই সবার পছন্দের খাবার তৈরি করতে হয়। এখন তো বৃষ্টির সময়। প্রায়ই খিচুড়ি রান্না করতে হয়। সংসারে সময় দেওয়াতেই আমি আনন্দ পাই। নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দিই বলে অনেকেই মনে করে আমি ফেসবুকেই থাকি। আমি শুধু ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতেই আসি। পোস্ট দেওয়া শেষ হলেই ফেসবুক বন্ধ করে দিই। একটু সময় পেলেই রান্নায় বসে যাই, ইবাদত করি।

গায়িকা সালমা। ছবি: ফেসবুক থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

মাউশির মহাপরিচালককে ওএসডি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে দিয়ে ওএসডি (৴বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

অবশ্য আগেই মুহাম্মদ আজাদ খানকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৬ অক্টোবর মাউশির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখনই আজাদ খানকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পরদিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর আজাদ খান নিজে থেকেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেন। এখন তাঁকে মাউশিতে ওএসডি করা হলো। প্রসঙ্গত, এই পদটি শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ।

আরও পড়ুনদুই ভাগ করা হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে১২ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা যায়, মুহাম্মদ আজাদ খানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকেরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। এ জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পদে তদবির করে যেনতেন ও অভিযুক্ত কেউ যাতে নিয়োগ পেতে না পারেন, সে জন্য সাক্ষাৎকার ও যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দিতে আবেদন আহ্বান করা হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে মাউশি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। তিনি অবসরে যাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি এ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রসায়নের অধ্যাপক এহতেসাম উল হক। তার আগে তিনি পটুয়াখালী সরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের পর তাঁকে প্রত্যাহার করার দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের একটি সংগঠন। পরে দাবির মুখে নিয়োগ দেওয়ার মাত্র ২০ দিনের মাথায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তাঁকে ওএসডি করা হয়। এরপর জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির নতুন মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক০৬ অক্টোবর ২০২৫

উপদেষ্টা-সচিবকে আইনি নোটিশ

এদিকে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিতে ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা (অধ্যাপক সি আর আবরার), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিবকে (কলেজ-১) আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. আবেদ নোমানীর (অবসরোত্তর ছুটিতে) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. কায়সারউজ্জামান এই নোটিশ দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনইংরেজি-গণিতে দুর্বল শিক্ষার্থী বেড়েছে ০৭ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাউশির মহাপরিচালককে ওএসডি