এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
Published: 8th, July 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তারা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন বলে এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় দুইশর মতো আয়কর ক্যাডার কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাচভিত্তিক ক্ষমা চেয়েছেন। এসব ব্যাচের মধ্যে ৪০, ৩৮, ৩৩, ৩১, ৩০, ২৯, ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা বেশি ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চান।
আরো পড়ুন:
সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে: এনবিআর চেয়ারমান
ঝুঁকির মুখে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের বিকাশ, সংকুচিত হবে কর্মসংস্থান
এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, “চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি ক্ষমা করে দিয়েছি, তবে আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।”
এর আগে গত সপ্তাহে এনবিআরের দুজন সদস্যসহ সব মিলিয়ে সংস্থাটির ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। আন্দোলন প্রত্যাহারের পরের এই পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কাজ বন্ধ রাখার দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এতে এনবিআর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টমস হাউজ পরিদর্শন শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “এনবিআরের কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই। যারা অনেক বড় আকারে সীমা লঙ্ঘন করেছে, সেটি ভিন্নভাবে দেখা হবে। সাধারণভাবে কারো কোনো ভয়ের কারণ নেই।”
আন্দোলন প্রত্যাহারের পর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবসর, বদলি, বরখাস্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আন্দোলন ওই কয়েকজনে করেনি, অনেকে করেছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনব আর র কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
অবসর কাটাতে ছেলের সঙ্গে কানাডায় ববিতা
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা। রুপালি পর্দায় দীর্ঘসময় রাজত্ব করা এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী এবার পাড়ি জমালেন কানাডা। উদ্দেশ্য, অবসরের সময়টুকু প্রিয়জনের সান্নিধ্যে থেকে কিছুটা প্রশান্তি ও আনন্দ নিয়ে কাটানো। জানা গেছে, আজ ছয় মাসের জন্য কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন ববিতা। সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন তাঁর একমাত্র পুত্র অনিক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করছেন।
ছোটবেলা থেকেই কানাডায় বেড়ে ওঠা অনিক বর্তমানে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং সেখানে শিক্ষকতা করছেন। সম্প্রতি মা ববিতাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আসেন অনিক। এবার মা-পুত্র একসঙ্গে ফিরে যাচ্ছেন কানাডায়।
এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘অনেক দিন হলো এক জায়গায় থিতু হয়ে থেকেছি। এবার মনে হলো একটু নিজের মতো করে সময় কাটাই। ছেলের সঙ্গে কানাডায় থাকব, মাঝে মাঝে ওর কাজের ফাঁকে ঘুরে বেড়াব। পাশাপাশি আমেরিকায় প্রবাসী আমার ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করব। অনেকদিন হলো তাদের সান্নিধ্য পাই না।’ তবে শুধু ঘুরে বেড়ানোই নয়, দায়িত্বের অংশ হিসেবে ববিতা এবার যুক্তরাষ্ট্রেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেবেন।
তিনি জানান, ‘আমি ডিসিআইআই এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এবারও কিছু সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে ডিসিআইআই-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ববিতা। এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও নারীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ববিতাও একজন সেলিব্রেটি অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণা, ফান্ড রেইজিং ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
১৯৬৮ সালে ‘সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ববিতার। এরপর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী সিনেমা—অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, নতুন সুর, তিতাস একটি নদীর নাম, শঙ্খনীল কারাগার, রামের সুমতি, অমানুষ, অলাতচক্রসহ অসংখ্য ছবি।
ববিতার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’। এই চলচ্চিত্রে ২০১৫ সালে অভিনয়ের পর থেকে ববিতা আর নতুন কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিনয় থেকে। এখন সময়টা কাটাচ্ছেন নিজের মতো করে—পরিবার, সমাজসেবা আর স্মৃতিময়তার আবহে।
চিরসবুজ এই তারকার কাছে অভিনয় নয়, এখন পরিবারের কাছে থাকাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য। কানাডার প্রকৃতির মাঝে, সন্তানের পাশে থেকে তিনি খুঁজে নিতে চান জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।