অবাধ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে: গয়েশ্বর
Published: 11th, July 2025 GMT
দেশে একটি অবাধ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হলে জুলাই শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে। আমরা দেশে একটি অবাধ ও সুন্দর নির্বাচনের স্বপ্ন দেখেছি। এটা যদি ব্যর্থ হয় তবে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। আমাদেরও দুঃখের শেষ থাকবে না।’
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। রাজধানীতে আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় মালা যাঁরা গলায় পরলেন, তাঁরা এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যাতে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। কারণ, ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে এমন কর্মকাণ্ডের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।’
গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচনে জনসাধারণ যাদের পক্ষে রায় দেবেন, তারাই বিজয়ী হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি যেন বিজয়ী হতে না পারে, সে জন্য অনেকে একত্রিত হয়েছে। তারা নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়নি, পাগল হয়েছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে যা বলেছেন, তা বাস্তবায়ন করবেন। দেশে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের ভেতর দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যই বিএনপি আন্দোলন করছে।’
জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফউদ্দিন, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, শহীদ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র জন য স ন দর ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের মঙ্গলের জন্যই দেশকে দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে ওঠাতে হবে: ফখরুল
দেশের মঙ্গলের জন্যই দেশকে দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে ওঠাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস ও অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এরপর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে একটি মহলের বিরোধিতা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি কেউ থাকে, সেটা হচ্ছে বিএনপি এবং সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি করে গণতন্ত্রের জন্য, সেটা বিএনপি। বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্র। দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ওঠানো এবং যত দ্রুত সেটাকে ওঠানো যাবে, ততই মঙ্গল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যাঁরা মনে করেন যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমার মনে হয় তাঁরা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলছি যে সংস্কারগুলো, সেই সংস্কারে আমরা অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই…দুটি একসঙ্গে চলবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিকটিম আমাদের দল বিএনপি। আমার নিজেরও ১১২টা মামলা এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমরা সব সময় মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে…বিশেষ করে আওয়ামী লীগ কাজ করেছে, তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন…তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে, আমি মনে করি দ্য রেসপন্সিবল ফর দ্য কিলিং অব দ্য থাউজেন্ডস অব পিপল। তাঁর বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী তাঁর এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা গণহত্যার সঙ্গে এবং এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে। এবং সেই হিসেবে দল যদি আইনের আওতায় নিয়ে এসে, দলও যদি দেখা যায়, দলগত হিসেবে তাদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’